নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে একটি নিরীহ পরিবারকে জিম্মি করে নানা ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মোকনা ইউনিয়নের বন্ধজালশুকা গ্রামে।
মোকনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাসুদ ও সন্ত্রাসী হবির ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপের অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের দরিদ্র বদর উদ্দিনের পরিবার।
সম্প্রতি ইউপি সদস্য মাসুদ তার দলবল নিয়ে হামলা করে মো. মিজানুর রহমানের উপর।
ছেলের উপর হামলার খবর পেয়ে হার্টএ্যাটাক করেন পিতা বদর উদ্দিন ওরফে বিচার আলী। বর্তমানে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় বাড়ীতে অরস্থান করছেন।
এই বাহিনী তিন দফায় জোড়পূর্বক দরিদ্র বদর উদ্দিনের একমাত্র উপার্জনের পথ লেবু বাগান থেকে জোড়পূর্বক লেবু তুলে নিয়ে বিক্রি করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মাসুদ আর হবি দুই গ্রাম মিলিয়ে একটি সন্ত্রাসী ও মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী গ্রুপ তৈরি করেছে।
তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। তারা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতনসহ চাঁদা দাবী করে।
গত ২৪ আক্টোবর ২০২০ ইং তারিখে মিজানুর রহমান (২৮) লেবু বিক্রি করে বাড়ি ফিরার পথে মাসুদ রানা ও হাবিবুর রহমান হবি’সহ কয়েকজন যুবক নিয়ে তাকে পথ আটকিয়ে তাদের দলের সদস্য হওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয়। মিজান সদস্য হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে মাসুদ ও হবি মিজানের কাছ থেকে জোড় পূর্বক ৪৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং হুমকি দিয়ে যায়।
এরপর গত বছর ৪ নভেম্বর সকাল দশটায় আগদিঘুলিয়া এম বোরহান উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পাকা রাস্তায় মিজানুরকে একা পেয়ে মাসুদ ও হবি গ্রুপ হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
আহত মিজানকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে নাগরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় পর পর দুটি মামলা করলে আসামীরা জামিনে এসে মামলা তুলে নেবার জন্য প্রতিনিয়ত বাদিকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এদের ভয়ে পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মোকনা ইউপি সদস্য মো. মাসুদ রানা বলেন, মিজানুরের কোন বিষয়ে আমি জড়িত না; আমাকে জড়িয়ে দুইটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার