নাগরপুরে যৌন হয়রানিকারী সেই প্রধান শিক্ষক বহিস্কার

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পচা সারুটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ আলীকে (৪৫) স্থায়ী ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আত্মসাত ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

রোববার সকালে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও পচা সারুটিয়া মেহের আলী খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে ২ সন্তানের জননীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নারীর সাথে শিক্ষক ফরহাদ আলীর যৌন উত্তেজক আপত্তিকর কথপোকথনের একাধিক অডিও ক্লিপস ভাইরাল হয়।

এ ঘটনা বিভিন্ন জাতীয় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার হলে এলাকাসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ আলী উপজেলার শাখাইল গ্রামের দুঃখু মিয়ার ছেলে।

সূত্রে আরো জানায়, উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের ভারড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রীর স্ত্রীকে চাকুরী দেওয়ার পর থেকেই তার সাথে ঘনিষ্ঠ হন প্রধান শিক্ষক।

চাকুরী প্রত্যাশী ভুক্তভোগীর দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মোবাইল ফোনে ও সরাসরি প্রতিনিয়ত শারীরিক মিলনের জন্য কু-প্রস্তাব দিতে থাকেন।

পরে ভুক্তভোগী নারী টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাগরপুর আমলী আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

বিষয়টি সে সময় বিভিন্ন ইলেট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার হলে কর্তৃপক্ষ ২১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

পরবর্তীতে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় অবশেষে তাকে চুড়ান্ত ভাবে বরখাস্ত করা হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচলনা কমিটির সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা ডা. তাহেরুল ইসলাম জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে স্পর্শকাতর।

এখানে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে। জেনেশুনে চরিত্রহীন ও বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতকারীকে বহাল রাখতে পারিনা।

প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে এবং শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার