করোনাভাইরাসের প্রভাবে বেকার হয়ে পড়া কর্মহীন জনগোষ্ঠীর জন্য টাঙ্গাইলের নাগরপুরে খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির দাবী করছেন অনেকেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রায় ৩ হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
কর্মহীন বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে সরকারি ত্রাণের আওতায় আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। যে পরিমান ত্রাণ সরকারি ভাবে দেওয়া হচ্ছে তা কর্মহীন মানুষের তুলনায় অপ্রতুল। তাই বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে বাচাতে হলে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের বিকল্প নেই।
তাই শুধু কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সর্বসাধারনের জন্য তা উম্মুক্ত করে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন কর্মহীন এ সকল মানুষ।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় নাগরপুর উপজেলায় ২৪ জন ডিলারের মাধ্যমে ১৩৩৭২ জন হতদরিদ্র কার্ডধারীদের মাঝে জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ক্ষেত্রে কার্ডধারী ব্যতিত কারো কাছে চাল বিক্রি করা যাবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আইয়ুব রায়হান জানান, খোলা বাজারে চাল বিক্রির কোন নির্দেশনা পাইনি। এখন শুধু পৌরসভা পর্যায়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রির কার্যক্রম চালু আছে। যদি উপজেলা পর্যায়ে খোলা বাজারে চাল বিক্রির নির্দেশনা আসে তাহলে অবশ্যই নাগরপুরের প্রকৃত হত দরিদ্র মানুষ স্বল্পমূল্যে চাল কিনতে পারবে।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, করোনা মোকাবেলায় সরকারের ডাকে দেশবাসী সারা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। তাদের যেন খাবার সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য সরকার খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি ইউনিয়নগুলোতে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি অব্যাহত রয়েছে। এর বাইরে যদি সরকার উপজেলা পর্যায়ে ওএমএস চালু করে তাহলে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।