নিজস্ব প্রতিবেদক : নিজের দেয়া বক্তব্যের ভুল বুঝতে পেরে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
সাবালিয়া পাঞ্জাপাড়া হাসমত আলীর ছেলে ওয়াসিম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে ক্ষমা চান।
জানা যায়, ওয়াসিম গত ২৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুন – এ দেশে যত অন্যায় হয়েছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা করেছে
ওই মামলায় কালিহাতী উপজেলার কদিম হামজানী গ্রামের শরীফুল ইসলাম সিদ্দিকীর ছেলে সুমন সিদ্দিকীসহ চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
পরবর্তীতে ওই মামলাটি নিয়ে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক তার কাছে বিষয়টি জানতে চান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মীরা ঘটনার সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করেন।
যা সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার তৈরি হয়।
এর মধ্যে ওয়াসিমের দায়েরকৃত মামলার ১ নং আসামী ছাড়া বাকি ৩ আসামীর সাথে তার আপোষ মিমাংসা হয়ে যায়।
মামলার মিমাংসা –
যা আদালতের মাধ্যমে নোটারি পাবলিক দ্বারা এফিডেভিট করা হয়।
এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয় যে, মোকদ্দমায় এলাকায় হিতৈষী মাতাব্বরগণ উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অত্র মোকদ্দমার ১ নং আসামি ব্যতিরেকে বাদ বাকি আসামি এবং বাদীর মধ্যে এক আপোষ মিমাংসা করিয়া দিয়াছেন।
১ নং আসামী ব্যতীত উভয় পক্ষ উক্ত আপোষ মিমাংসা মানিয়া লইয়াছেন।
বর্তমানে ১ নং আসামী ব্যতীত আমরা উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করিতেছি।
এফিডেভিটে উল্লেখ করা হয় যে, বর্তমানে ১ নং আসামী ব্যতীত অন্যান্য আসামীগণের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই।
আরো পড়ুন – সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাংগীর আলম গ্রেপ্তার
আমি নিজেদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি এবং সামাজিক চাপে কয়েকজনের নাম প্রকাশ করিয়া অত্র মোকদ্দমা দায়ের করেছিলাম।
পরিশেষে তিনি উল্লেখ করেন যে, তিনি স্বেচ্ছায় এই এফিডেভিট সম্পাদন করেছেন।
ওয়াসিম যা বলেন –
ওয়াসিম তার নিজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সাংবাদিক কাছে দেয়া তার বক্তব্যটির দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি তার ভিডিও বক্তব্যে বলেন, আমি সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই।
সে সময় না বুঝেই ঘটনার সাথে ছাত্রদল সদস্যদের সম্পৃক্ততার কথা বলে ফেলি।
প্রকৃতপক্ষে ওই ঘটনার সাথে কোন ছাত্রদল নেতাকর্মী জড়িত ছিলো না বা আমি কাউকে দেখি নাই।
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরে সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন।
এছাড়াও মামলায় উল্লেখিত ২, ৩ ও ৪ নং ব্যক্তির কেউই ওই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয় বলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি তাদের সাথে আমার আপোষের উদ্যোগ নিলে আমি আপোষ মিমাংসা করি।
জেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বক্তব্য –
এবিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল টাঙ্গাইল জেলা কমিটির আহবায়ক দুর্জয় হোড় শুভ বলেন, তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সমর্থক।
তিনি তার ভুল বুঝতে পেরে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীর নিকট ক্ষমা চেয়েছেন। বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি।