নিজস্ব প্রতিবেদক : খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুফতি মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনা ৫০ বছর যে রাজনীতি করেছে তার মধ্যে কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, তার মধ্যে এক নাম্বার বৈশিষ্ট্য হলো শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিলো প্রতিশোধের রাজনীতি।
১৯৭৫ সালে তার বাবাকে কেনো হত্যা করা হয়েছিলো সে কথা তিনি ভুলে গেছেন।
একাত্তরে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে তাদের প্রতি মায়া নাই, মায়া শুধু শেখ পরিবারের জন্য।
আরো পড়ুন – স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে। প্রেতাত্মারা এখনো ঘোরাফেরা করছে
বঙ্গবন্ধুর রক্তের যেমন দাম আছে, তেমনি সাধারণ মানুষের রক্তেরও দাম ছিলো।
শেখ হাসিনা এই দেশকে স্বাধীন রাখতে চান নাই, মানুষকে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলো, পদ্মা সেতু মনে হয় শেখ হাসিনার বাবার টাকায় করেছিলো।
শেখ হাসিনা মনে মনে ভেবেছিলো তোমরা বেশি বুঝবা বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানিয়ে দিব।
টাঙ্গাইল জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যানে সকাল ১০টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্য বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে যা বলেন তিনি –
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল শান্ত স্বাভাবিক পরিবেশে এমনিভাবে একটি সাধারণ ছাত্র জনতার বিরুদ্ধে এমন হত্যাযঞ্জ চালানো যায়, আজ একাংশ শতাব্দীতে এসে যা কল্পনা করা কঠিন।
এ জন্য আমি বলে থাকি বাংলাদেশে হাজার বছরের মধ্যে শেখ হাসিনার মতো এতো নির্মম, এতো বর্বর কোন মানুষের জন্ম হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ হয়।
এ নির্মমতার স্বীকার হয়েছে আমাদের কোমলমতি ছাত্ররা। স্বীকার করেছে সাধারণ জনতা ও মাদরাসার ছাত্ররা।
হাসিনা এমন হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে যে লাশ ঘুম করে রেখেছে যাতে করে কোন পরিবার লাশ কোথাও কেউ না পায়।
তিনি আরো বলেন, মানুষকে গুমের পর গুম করেছে হাসিনা, মানুষ এখন তাদের স্বজনদের জন্য হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল, ঘরের সামনে তাকিয়ে থাকে ফিরে আসার অপেক্ষায়।
এই ছিলো শেখ হাসিনার বাংলাদেশের চিত্র।
এই বাংলাদেশ গড়ার জন্য এই দেশের হাজারো মানুষ রক্ত দিয়ে গড়েনি, এই বাংলাদেশ থেকে শেখ হাসিনা আল্লাহ বিতারিত করে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন – লোডশেডিং সাবেক সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্র।। অভিযোগ গ্রাহকের
সীমান্তের ওপার থেকে আপা সংবাদ পাঠায় চট করে ঢুকে পড়ার পায়তারা করা হচ্ছে, আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন; সময় মতো আমরাই ধরে নিয়ে আসবো।
এর আগে ঢুকার চেষ্টা করবেন না। এদেশের মানুষের কবলে পড়লে আর বাঁচবেন না।
ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে যা বলেন মামুনুল হক –
পরিশষে তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভালো আছে, তাদের মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় আর হামলা হয় না।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘরগুলোতে কেউ আর আক্রমন চালায় না; কারণ আক্রমনকারী আওয়ামী লীগাররা এখন পালায়ে আছে।
ওরা যদি আবার ঢুকতে পারে, শুরু করবে সংখ্যালঘুদের দিয়ে।
সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর জ্বালাবে, তাদের মন্দিরের মূর্তি ভাঙবে। এগুলো করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধাবার চেষ্টা করবে।
তিনি নেতাকর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, বর্তমানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশে চলছে; এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রীতির সকল জায়গাগুলোকে সম্মিলিতভাবে সংরক্ষণ করবো আমরা।
আগামীর বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ, ইনসাফের বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।
সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের জেলার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কামরুল হাসান প্রমুখ।