দৈনন্দিন ওজনের স্বল্প পরিবর্তন সাধারণ, তাই একদিন থেকে পরের দিনের স্কেলের সংখ্যা নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। সাধারণত একদিনে ওজন ০.৫৭ থেকে ৩.২ পাউন্ড পর্যন্ত ওঠানামা করা স্বাভাবিক। চলুন জেনে নিই, কী কারণে শরীরের ওজন দৈনন্দিনভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
১. দিনের সময়: কখন নিজেকে স্কেলে পরেন তা গুরুত্বপূর্ণ। খাবার গ্রহণ, পানি পানের পরিমাণ, মলত্যাগ এবং ঘামের কারণে ওজন ওঠানামা করতে পারে। প্রতিদিন একই সময়ে ওজন নেওয়া পরিবর্তনগুলো কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, সকালে বাথরুম ব্যবহার করার পর এবং নাস্তার আগে ওজন নেওয়া ভালো অভ্যাস।
২. খাদ্যাভ্যাস: কার্বোহাইড্রেট বা সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে, যার ফলে সাময়িকভাবে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে এটি স্থায়ী নয় এবং চর্বির পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত নয়।
৩. হাইড্রেশন: শরীরের ৪৫–৭৫% ওজন পানি দিয়ে তৈরি। পানিশূন্যতা বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে শরীরের পানি কমে গেলে ওজন কমতে পারে। অন্যদিকে বেশি সোডিয়াম বা ব্যায়ামের কারণে শরীর তরল ধরে রাখলে ওজন সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
৪. হরমোনের পরিবর্তন: মাসিক চক্রে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের পরিবর্তনের কারণে শরীর কিছুটা পানি ধরে রাখতে পারে। এছাড়া স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলও খাদ্যাভ্যাস, পানি ধরে রাখা এবং শরীরের ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে।
৫. অন্ত্রের কার্যক্রম: মলত্যাগের ধরণ ও সময়ও ওজনের ওঠানামায় ভূমিকা রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা কম মলত্যাগে ওজন সাময়িকভাবে বৃদ্ধি বা কমতে পারে। কম ফাইবারযুক্ত খাবারও মল ও ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে।
সংক্ষেপে, দৈনন্দিন ওজনের ছোট ওঠানামা স্বাভাবিক এবং সাধারণত চর্বির পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে না। এটি খাদ্য, পানি, হরমোন এবং অন্ত্রের কার্যক্রমের কারণে হয়। তবে হঠাৎ ওজনে বড় পরিবর্তন দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।











