ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিং মামলায় রুবেল-বরকতের পরে এবার গ্রেপ্তার হলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন। আজ শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) গত ২৬ জুন দুই হাজার কোটি টাকা অবৈধ অর্থ-সম্পদ আয় ও পাচারের অভিযোগ এনে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করেন। মামলাটির বাদী সিআইডির পরিদর্শক এসএম মিরাজ আল মাহমুদ।

জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভীর বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে বিল্লালের বিরুদ্ধেও।

এই মামলায় ফরিদপুরের বহুল আলোচিত দুই ভাই শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে উপার্জন ও পাচারের অভিযোগে মামলাটি করা হয়।

গত ৭ জুন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হন রুবেল ও বরকত। পরে তাদের মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রথমে দুই দিন পরে আরো তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় দুই ভাইয়ের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে তাদের ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত কেন্দ্রীয় কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ‘সিআইডির মানি লন্ডারিং মামলায় প্রধান আসামি রুবেল-বরকতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে নাজমুল ইসলাম লেভী ও বেলাল হোসেনের সম্পৃক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুপুরে ফরিদপুর শহরের নিজ বাড়ি থেকে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপর সময় মতো জেলহাজত থেকে আমরা তাদের ঢাকায় পাঠিয়ে দেব।’

এদিকে, দুই নেতাকে খবরে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা ধন্যবাদ জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে।

সূত্র: ntv