নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে টাঙ্গাইলের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ফর সোসাল সার্ভিস (এসএসএস)।
প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার বন্যাদুর্গত পরিবারের জন্য সংস্থাটি ৬ কোটি টাকার প্রাথমিক তহবিল নিয়ে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য কাজ শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা – কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে তাদের এক দিনের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের বাজেট থেকে অর্থ প্রস্তুত করা হয়।
আরো পড়ুন – সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চাঁদাবাজির টাকা জমা রাখতো বড়মনি
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে, যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন এসএসএস’র কর্মকর্তারা।
টানা বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
বিশেষ করে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও আশপাশের জেলার বেশিরভাগ এলাকা এখন পানির নিচে।
এতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওই এলাকার লাখ লাখ মানুষ।
দেশের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এসএসএস বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ত্রান সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছে এক কোটি টাকা।
আর বাকি ৫ কোটি টাকা সরাসরি বন্যার্তদের ত্রান সহায়তায় ব্যয় করা হচ্ছে।
টাঙ্গাইল শহরের পলাশতলী এলাকায় সংস্থার নিজস্ব ভবনের কর্মী বাহিনী-কর্মকর্তারা শুকনা খাবারসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য প্যাকেটজাত কাজে নিয়োজিত রয়েছে।
এরমধ্যে ৫ কেজি চাল, ৩ কেজি আলু, ডাল ১ কেজি, তৈল ১ লিটার, চিনি, চিড়া, লবন, বিষ্কুট, খেজুর, শিশুদের জন্য গুড়া দুধ, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি ও লাইটার রয়েছে।
এসএসএস কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –
এসএসএস এর মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. ফয়সাল আহমেদ বলেন, এখন ১০ হাজার বন্যাদুর্গত পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন – গত ১৫ বছরের সব অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল
বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমাদের মেডিক্যাল টিম ও ঘরবাড়ি মেরামত ও পূণঃনির্মান কাজে সহায়তা প্রদান করা হবে।
সংস্থাটির সিনিয়র পরিচালক (ঋণ) সন্তোষ চন্দ্র পাল বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১২টি জেলা বন্যা কবলিত হয়েছে।
এই বন্যাকালীন সময়ে গত ২২ আগস্ট থেকেই সংস্থার স্থানীয় অফিস থেকে শুকনা খাবার সহায়তা চলমান রয়েছে।
বর্তমানে সংস্থাটির পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তৈল, লবন, আলু, চিনি, চিড়া, বিষ্কুট, খেজুর, শিশুদের জন্য গুড়া দুধ, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি ও লাইটার সহ ১৩টি পণ্য সম্পন্ন একটি প্যাকেট ১০ হাজার পরিবারকে প্রদান করা হবে।
সেই সাথে এই ত্রান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সংস্থা থেকে মোট ছয় কোটি টাকার একটি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে।
এক কোটি টাকা সংস্থার সর্বস্তরের ১ দিনের বেতন আর পাঁচ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব উদ্বৃত্ত তহবিল থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে।
এই পাঁচ কোটি থেকে এক কোটি টাকা প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া হবে।