বয়ঃসন্ধির সময় মুখে ব্রণ হওয়া খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। এই সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেকের মুখে ব্রণ দেখা দেয়। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রণের সমস্যা কমে যায়। কিন্তু অনেক সময় বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে যাওয়ার পরেও গাল, পিঠ, বুকে, কাঁধে বা পায়েও ব্রণ দেখা যায়, যা বেশ বিরক্তিকর হতে পারে।
ব্রণের কারণ কী?
ব্রণ তখনই হয় যখন ত্বকের রন্ধ্রে অতিরিক্ত তেল (সেবাম), মৃত ত্বকের কোষ ও ব্যাকটেরিয়া জমে যায়। হরমোনের ওঠানামাও ব্রণের একটি বড় কারণ। এই অবস্থায় ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের মতো সমস্যাও হতে পারে। তবু শুধু হরমোন বা তেল জমাট বাঁধাই নয়, ব্রণের পেছনে মানসিক চাপও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
স্ট্রেস এবং ব্রণের সম্পর্ক
গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে শরীরে কর্টিসল নামে ‘স্ট্রেস হরমোন’ এর মাত্রা বেড়ে যায়। যদিও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা কর্টিসলের সঙ্গে ব্রণের সরাসরি সম্পর্ক সব সময় নিশ্চিত করতে পারেন না, তবে অনেকেই লক্ষ্য করেন যে মানসিক চাপের কারণে ব্রণের প্রকোপ বেড়ে যায়।
ব্রণ প্রতিরোধে করণীয়
ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমেই মানসিক চাপ কমানো খুব জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলো, গান-বাজনা বা যেকোনো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সঠিক যত্ন ও মানসিক সুস্থতা বজায় রেখে ব্রণ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।