দেশে বর্তমানে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা-নিপীড়ন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারকে এটি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। অন্যথায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রদল আয়োজিত ‘অদম্য নারী, শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে সব স্থানে যেভাবে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা-নিপীড়ন বাড়ছে, তা উদ্বেগজনক। আমরা এর নিন্দা জানাই। এগুলোকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন যেভাবে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে, তা আমরা রোধ করতে না পারলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ করব, আপনারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন।
এখানে পতিত ফ্যাসিবাদীদের কোনো চক্রান্ত আছে কি না, তা বের করুন। বাংলাদেশকে কোনোভাবে অস্থিতিশীল করা যাবে না।’ নারীদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে নারীদের বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি আছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আমরা নারীসহ সমাজের অন্যান্য অংশের ক্ষমতায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেখানে আমরা বলেছি, নারীদের ক্ষমতায়ন হবে সাংবিধানিকভাবে, সংসদীয়ভাবে এবং আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সমাজের সর্বক্ষেত্রে। ক্ষমতায়নের হার আগের তুলনায় বাড়বে।’ বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, ‘সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনে আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, আশা করি সংসদে নারীদের সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে সংসদীয় নারীর ক্ষমতায়নে আমরা ভূমিকা রাখব। আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক যেসব দিক আছে, যেসব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে নারীর অংশগ্রহণ বাড়বে। এখানে কোনো বৈষম্যের স্বীকৃতি আমরা দেব না।
অভ্যুত্থানে নারীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যারা অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছে, তাদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ নারী ও শিশু। সেই হিসেবে তাদের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, সামাজিক শক্তি ও মানবাধিকার শক্তি স্বীকৃতি দিয়েছে। নারীরা সব সময় আমাদের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এগিয়ে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে নারীরা সম্মুখ সারিতে ছিলেন। আমাদের অর্জিত বিজয়ে নারীদের বেশির ভাগ ছিল বলেই আমরা মনে করি।’