নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মীর নাজমুল হক সবুজের (২৮) বাড়ি টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার কুমুল্লি গ্রামে।
তিনি সাভারের এসবি নিটিং লিমিটেডে মার্চেন্ডাইজার হিসেবে কাজ করতেন।
চাকরির সুবাদে তারা স্বপরিবারে আশুলিয়ায় বাসা ভাড়া করে থাকেন।
সবুজের মৃত্যুর খবরে তাঁর গ্রামে চলছে শোকের মাতম; শোকে পাগল তার ৬ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী শাহিনুর বেগম। বাবা-মা পাথর।
আরো পড়ুন – ডিএনএ টেস্টে সহযোগিতা করছেন না বড় মনির : আপিল বিভাগে রাষ্ট্রপক্ষ
শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় তারা বন্ধুরা মিলে বৃহস্পতিবার রাতে সিলেটের উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন।
সাভার এলাকার এসবি নিটিং কোম্পানির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী মাইক্রোবাসে ছিলেন।
নরসিংদী পৌঁছানোর পর ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও গুরুতর আহত হন আরো ৪ জন।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার ঘাসিরদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সবুজের বাবা মীর মোতাহের হোসেন আশুলিয়ায় একটি ঔষধের দোকান করেন।
ছোট ভাই মীর মেহেরাব হোসেন পলাশ রেন্ট এ কারের ব্যবসায় যুক্ত।
মা জিন্নাত আরা, স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে আলিফকে নিয়ে সুখের সংসার ছিল তাদের।
একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সব কিছু এলোমেলো করে দিল। বিধাতার নির্মম শাস্তি।
সবুজের ভাই পলাশ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের ভাগ্য বড়ই খারাপ! মাত্র এক বছর আগে সবুজের ছোট ছেলে আদিয়াদ মারা গেছে।
ভাবির গর্ভের সন্তানটি বাবার মুখটি দেখতে পেল না। বড় ছেলে আলিফের বয়স মাত্র ৪ বছর।
বাবা হারানোর ব্যাথ্যা সে বুঝতেই পারছে না। এর থেকে নির্মম কি হতে পারে! আমি আর কিছু বলতে পারছি না।
আরো পড়ুন – বদলি হওয়ায় থানার এসি সোফা টেলিভিশন খুলে নিলেন ওসি!
সবুজের চাচা সিহাব উদ্দিন জাকির বলেন, ওরা আশুলিয়া থাকলেও গ্রামের বাড়িতে নিয়ামিত আসা যাওয়া করতো। ছোট বেলা থেকেই সবুজ মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছিল।
আসলে সবুজের অকালমৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ বাড়িতে আনার পর আজ শুক্রবারই সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।