টাঙ্গাইলের বাসাইলে মামার বাড়ী বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে এক কিশোরী (১৪)। সে সখীপুর উপজেলার চাকদহ্ এলাকার জনৈক সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের মেয়ে। এ ঘটনা জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আবুল কালাম আজাদ (২০), একই উপজেলার খারজানা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে আমিরুল ইসলাম (২০) ও বাগমারা জেলার খারাগাছী এলাকার আক্তার আলীর মিলন মিয়া (২২)। আটককৃতরা প্রাণ কোম্পানির বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার মার্কেটিং বিভাগে কর্মরত। গত সোমবার বাসাইল গোবিন্দ স্কুল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন পূর্বে পাশ্ববর্তী উপজেলা সখীপুরের চাকদহ্ এলাকা থেকে বাসাইল উপজেলার যৌতকী গ্রামে মামার বাড়ী বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। সে সোমবার সকালে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় ওই ৩ জন তাকে ফুসলিয়ে বাসাইল গোবিন্দ স্কুল পাড়ায় তাদের মেসে নিয়ে যায় ও ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী আহত অবস্থায় পালিয়ে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি সখীপুর সার্কেল) মো. আব্দুল মতিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে যাহারাই জড়িত থাকুক তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।