কোমল পানীয় স্পীড পান করে জেএসসি পরীক্ষার্থী হাসপাতালে

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্পীড পানে চার জেএসসি পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে তিনজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ইংরেজী পরীক্ষা শেষে ওই পানীয় পান করে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে।

অসুস্থ্ চার জেএসসি পরীক্ষার্থীরা হলো ইতি আক্তার, মীম আক্তার, শিলা আক্তার ও আখি আক্তার। এরা সবাই উপজেলার বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মির্জাপুর সদরের সরকারী সদয় কৃষ্ণ মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।

জানা গেছে, সোমবার ইংরেজী পরীক্ষা শেষে দুপুরে মির্জাপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি দোকান থেকে স্পীড নামে কয়েক বোতল পানীয় কিনে ইতি আক্তার, মীম আক্তার, শিলা আক্তার, তৃষ্ণা ও আখি আক্তার। এদের মধ্যে তৃষ্ণা ছাড়া সবাই ওই পানীয় পান করে। পরে তারা একটি সিএনজি চালিত অটো নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। পানীয় পান করার কিছুক্ষণের মধ্যে অটোর ভেতরেই ইতি আক্তার, মীম আক্তার, শিলা আক্তার ও আখি আক্তার অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের মধ্যে ইতি আক্তার, মীম আক্তার ও শিলা আক্তারকে গুরুতর অবস্থায় কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার কিছুটা সুস্থ্ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তিন ঘন্টার জন্য ছুটি নিয়ে ইতি, মীম ও শিলা তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয় পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে জানা গেছে। পরীক্ষা শেষে তারা হাসপাতাল বেডে ফিরে যায়। 

বরাটি নরদানা বাংলাদেশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সোহরাব মল্লিকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েগুলো প্রায় মরনাপন্ন হয়ে পড়েছিল। এই পানীয়গুলো স্বাস্থ্যসম্মত কিনা আপনারা দয়া করে দেখুন।

কুমুদিনী হাসপাতালের রেজিস্টার ডা.পবিত্রা শারমিন বলেন, স্পীড নামে পানীয় খেয়ে তিন শিক্ষার্থী সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এটি কী ধরনের বিষক্রিয়া তা ভালভাবে বুঝতে পারছেন না তিনি। তবে খালি পেটে এই ধরনের পানীয় পান করলে পেটে এসিড বেড়ে বমিসহ নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটিকে হাইপারেসিডিটি (Hyperacidity) বলা হয় বলে তিনি জানান।