বয়স এবং শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন **মিরপুর ‘হোম অব ক্রিকেট’ আসেননি লোকমান হোসেন ভুইয়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক পরিচালক। কিন্তু গতকাল সাত বছর পর তিনি নিজে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনের আপত্তি জমা দিতে বাধ্য হন।
লোকমান বলেন, “আমার প্রতিনিধি আপত্তি জমা দিতে গেলে বলা হয় আমাকে সশরীরে আসতে হবে এবং ভোটার আইডি দেখাতে হবে।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই নিয়ম কি সকলের ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে? কারণ, গতকাল জমা হওয়া ৩০টি আপত্তির মধ্যে একটি ছিল সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহরের নাম ব্যবহার করে, যিনি বর্তমানে কানাডায় আছেন।
হালিম শাহর নিজে বলেছেন, “আমি কোনো চিঠি স্বাক্ষর করিনি, বিসিবিতে যাইনি। যারা আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে, তার তদন্ত সিসিটিভি ফুটেজ দিয়ে করা যেতে পারে।”
এ ঘটনায় তামিম ইকবালের ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস ক্লাবের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেননি, অথচ তামিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এছাড়াও, চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, তামিম ক্লাবের সদস্য নন। তবে ক্লাব সভাপতি খালেদ মাহমুদ উল্লেখ করেছেন, “তামিম আমাদের ক্লাবের সদস্য এবং যুগ্ম সম্পাদক। প্রমাণ হিসেবে সভার কার্যবিবরণীও রয়েছে।”
লোকমান ভুইয়া আরও জানান, আপত্তি জমা দেওয়ার সময় তিনি পরিচিত না এমন ব্যক্তিদের কাছে জমা দিয়েছেন, যাদের পরিচয় জানতে চাইলে বলা হয়, তারা সিআইডির লোক। পরে বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান ব্যাখ্যা দেন, “নির্বাচন কমিশনে পুলিশের একজন কর্মকর্তা ছিলেন, যার সচিব আপত্তি গ্রহণ করেছেন।”
এদিকে, নাখালপাড়া ক্রিকেটার্স ও ভাইকিংস একাডেমির বিতর্কিত ক্লাবগুলো দুদক তদন্তের সুপারিশ সাপেক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। তবে কিছু ক্লাবের আপত্তি এখনও শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়াও সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং অন্যান্য কাউন্সিলরের কাউন্সিলরশিপ বাতিলের আবেদন উঠবে আজকের শুনানিতে।