ভূঞাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রী সুমাইয়াকে (২১) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রুবেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) রাতে উপজেলা পৌর শহরের ঘাটান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার এবং তার স্বামী রুবেলকে আটক করেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত একমাস আগে ঘাটান্দীর গ্রামের চা দোকানী তারা তালুকদারের বাসা ভাড়া নেয় তারা; বাসায় ওঠার পর থেকেই দুজনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
সুমাইয়া অন্যের বাসা-বাড়িতে ও তার স্বামী রুবেল হোটলে কাজ করতেন। তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সুমাইয়ার মা বলেন, রুবেল একদিন কাজ করলে দুইদিন বসে থাকতো এবং রোজগার করা টাকা দিয়ে নেশা করতো।
এদিকে সুমাইয়া অন্যের বাসায় কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছিল। নিয়মিত কাজ করতে বলা ও নেশা করতে বাধা দেওয়ায় সুমাইয়ার সাথে প্রতিদিনই ঝগড়া লাগতো।
মঙ্গলবার রাতে রুবেল নেশার টাকার জন্য সুমাইয়ার সাথে ঝগড়া হয় এবং মারধর করে। সুমাইয়া টাকা না দেয়ায় গলা টিপে হত্যা করে।
বাসার মালিক তারা তালুকদার জানান, আমার বাসা ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই তারা মাঝে মধ্যে ঝগড়া করতো।
মঙ্গলবার মধ্য রাতে আমি বাসা এসে জানতে পারি রাত ১০টার দিকে তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া হয়েছিল।
রাত দুইটার সময় রুবেলের ডাক-চিৎকার শুনে বাইরে বের হলে রুবেল জানায় স্ত্রী মারা গেছে। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে আশপাশের লোকজনদের জানাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে বুধবার সকালে সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করি।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া তার স্বামী রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। নিহত সুমাইয়ার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার