ভূঞাপুরে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে ভাঙচুর

যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দিরে ভাঙচুর

ভূঞাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতার হামলায় সংখ্যালঘু পরিবারের ১০ জন আহত হয়েছেন।

তাদের ঘরে থাকা কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার কষ্টাপাড়া এলাকায় ঘোষপাড়ার সুভাষ ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে এ হামলার ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন – কালিহাতীতে পুলিশের উপর ককটেল হামলা, আটক ৫

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম গোবিন্দাসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলমের সাথে সুভাষ ঘোষের সাথে বিরোধ চলে আসছিল।

এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে খোরশেদ আলম ও তার ভাই আরশেদ আলী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুভাষের ও প্রদীপ ঘোষের ঘর-বাড়িতে হামলা চালায়।

এ সময় তারা ঘরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এতে বাঁধা দিতে গেলে তারা ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে।

এদের মধ্যে আহত রতন, নিখিল, আশোক, শান্ত ঘোষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত অমলেষ ঘোষ বলেন খোরশেদরা ৭-৮ জনের এক দল আমাদের উপর তিন দফায় হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে।

মহিলাসহ আমাদের কমপক্ষে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ওরা। এ অন্যায় অত্যাচারের বিচার চাই। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

খোরশেদ আলম বলেন, বাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের সাথে মামলা চলছে। কোন হামলা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

আমাদের ওপর ওরাই হামলা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাস করেছে। ওরা মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি রাজনীতি করি; মানুষের সেবা করি। এধরনের কাজ করতে পারি না।

আরো পড়ুন – চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের অপসারণ দাবি করেছে ৮ ইউপি সদস্য

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের ভূঞাপুর উপজেলার সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত বলেন, প্রকাশ্যে দিবালোকে হিন্দুদের বাড়ি-মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অপরাধীদের যথাযথ বিচার হওয়া দরকার।

ভূঞাপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। কোন পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিবেশ বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার