নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নে সাধারণ ভোটারদের উদ্দেশ করে নৌকায় ভোট না দিলে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া নিষেধ করা সেই আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান সাদিক বিরুদ্ধে মামলা করেছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার দুপুরে মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খন্দকার মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আরো পড়ুন – ৯ম দফায় টাঙ্গাইলে ২২টি ইউপির মধ্যে ১৯টিতে ভোট গ্রহণ, ৩টি স্থগিত
এর আগে তার বক্তব্যের জের ধরে গত ১২ জুন অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
অভিযুক্ত সাদিকুর রহমান সাদিক মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মির্জাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
মামলার বাদি খন্দকার মোহাম্মদ আলী জানান, সাদিকুর রহমান সাদিকের একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধমে ভাইরাল হয়।
পরে অরণখোলা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, তদন্ত সাপেক্ষে মামলায় পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বুধবার (৮ জুন) বিকালে উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের আমলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহিমের নির্বাচনী সভায় সাদিকুল ইসলাম সাদিক বক্তব্য দেন।
আরো পড়ুন – মধুপুরের কুড়াগাছা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণায় বাঁধা, হামলা-ভাঙচুর
ওই নেতার বক্তব্য ও পরবর্তী ঘটনা –
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে ওই বক্তব্যে উনাকে বলতে দেখা যায়, ‘আমি আজকেও বলে যেতে চাই; ১৫ তারিখ ভোট হবে সারাদিন এবং নৌকা মার্কায় ভোট হবে। যারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন, তারাই কেন্দ্রে আসবেন।
আর যারা নৌকায় ভোট দিতে নারাজ, তারা কেন্দ্রে আসবেন না। আমরা কিন্তু কেন্দ্রের আশপাশেই অবস্থান করবো।
এখানে ২৪শ’ ভোট রয়েছে। দুই হাজার ভোট কাস্টিং হলেও সেই দুই হাজার ভোট নৌকার থাকতে হবে।’
তার বক্তব্যের সময় স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন – ভোট স্থগিত হলো মধুপুরের সেই ইউপি’তে
এরপর থেকে নির্বাচনী এলাকায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়।
আগামিকাল বুধবার জেলার ৭টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও অনিবার্য কারনবশতঃ চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্পাদনা – অলক কুমার