মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেহেরিন আক্তার নামে সপ্তম এক স্কুল ছাত্রী অপহরণের দুই সপ্তহ পার হলেও তাকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৩ আগস্ট বাড়ির পাশে বিলের ধার থেকে অস্ত্রের মুখে মেহেরিনকে অপরহরণ করা হয়।
অপহরণের পর গত ৫ আগস্ট মেহেরিনের বাবা অপহরণকারীর প্রধান নাহিদ হোসেনসহ তিনজনের নামসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে আসাীমে করে মির্জাপুর থানায় মামলা দেন। কিন্ত অপহরণের দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার এজাহার ও অপহৃতের পরিবারের সদস্যরা জানান, উপজেলার তেলিনা গ্রামের মো. হুমায়ুন কবীরের মেয়ে মেহেরিন আক্তার (১৩) পাশ্ববর্তী কালিয়াকৈর উপজেলার রশিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। বাড়ি থেকে প্রতিদিন পায়ে হেঁটে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রশিদপুর গ্রামের ভুলু মিয়ার ছেলে নাহিদ হোসেন তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে নানাভাবে উক্ত্যক্ত করতে থাকে।
মেহেবিন এসব কথা পরিবারের সদস্যদের জানালে বিষয়টা তারা বাবা মা অপহরণকারী নাহিদের বাবাকে জানান। এতে নাহিদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মেহেরিনকে অপহরণের হুমকি দিয়ে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে গত ৩ আগষ্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে মেহেরিন বাড়ীর পাশে বিলের কাছে গেলে সেখান থেকে অপহরণকারী নাহিদ হোসেন ও তার সহযোগিরা অস্ত্রের মুখে মেহেরিনকে জিম্মি করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেবিনের বাবা ও স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে নাহিদের বাড়ীতে যান।
পরে সেখানে গিয়ে নাহিদের বাবা মাকে ঘটনা খুলে বললে তার অপহৃত মেয়েকে ফেরত দেওয়ার কথা বলে মোবাইল ফোনে নাহিদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন। কিন্ত দুই দিন অতিবাহিত হলেও মেয়েকে ফেরৎ না দিয়ে তারা কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে স্কুল ছাত্রীর বাবা হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে গত ৫ আগষ্ট দুপুরে মির্জাপুর থানায় নাহিদসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের মামলা দেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, একই গ্রামের রায়হান ও শিপলু। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২/৩জনকে আসামী করা হয়েছে।
এদিকে অপহৃতের বাবা হুমায়ুন কবীর জানান, দুই সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ তার মেয়েকে উদ্ধার বা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিপু সরকার জানান, অপহরণের মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একাধিক স্থানে অভিযানের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।