মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খান বলেছেন, সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৬৩৪টি ভবন রয়েছে, যার প্রতিটিতেই আয়ের উৎস আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন এসব সম্পদ লুটেরাদের দখলে ছিল।
তিনি বলেন, “লুটেরাদের হাত থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সম্পদ ফেরাতে আমাদের ১০ মাস সময় লেগেছে। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ও উপদেষ্টা বীর প্রতীক ফারুক-ই-আজমসহ আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। বিভিন্ন জেলায় চিঠি পাঠানোর পরও অনেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) এখনো মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের চাবি বুঝিয়ে দেননি। যারা সৎ, তারা দ্রুত চাবি হস্তান্তর করেছেন, আর যারা দীর্ঘদিন লুটপাট করেছে, তারাই বিলম্ব করছে।”
শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউএনওদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আপনারা অনেক খেয়েছেন, এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ বুঝিয়ে দিন। আগে চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল, এখন তা বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।”
এসময় তিনি আরও জানান, “১৯৭১ সালের ৭ ও ৮ মে মির্জাপুরে সংঘটিত গণহত্যায় নিহতদের গণশহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কাজ করছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজ উদ্দিন সিকদার।
এতে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক মণ্ডল, সদস্য সচিব শেখ মো. হাবিবুর রহমান, মির্জাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব মীর ফজলুল হক প্রমুখ।
সভায় মির্জাপুর উপজেলা, পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নবগঠিত কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।











