মির্জাপুর সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাদক বিক্রি করতে নিষেধ করায় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাজু (৩৫) নামে এক ব্যক্তির হাতের কবজি ও আঙুল কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নির্মম এ ঘটনার পর নজরুল ইসলাম পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের হাঁটুভাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন- নৌকার মাঝি হয়ে বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে চান ব্যারিস্টার সীমান্ত
সাজুকে প্রথমে কুমুদিনী হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাক্রম
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কালিহাতী উপজেলার নারিন্দার মালতি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম গোড়াই নাজিরপাড়া (পূর্বপাড়া) এলাকার শওকত হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকেন।
লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানার নদাবাস গ্রামের আফজাল দেওয়ানের ছেলে সাজুও একই এলাকায় ভাড়া থাকেন।
নজরুল ইসলাম গোপনে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক বিক্রির বিষয়টি সাজু বাড়ির মালিক শওকত হোসেন ফালুকে জানাতে চান।
এ নিয়ে বুধবার দুপুরে গোড়াই নাজিরপাড়া এলাকার অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামের বাসার সামনে সাজু ও নজরুলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে নজরুল ধারালো দা নিয়ে সাজুকে কোপাতে আসেন। এতে সাজু দৌড়ে ফালুর বাসার উঠানে গিয়ে পড়ে যান।
এ সময় নজরুল সাজুকে কুপিয়ে বাম হাতের কবজি ও ডান হাতের দুইটি আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এমনকি সাজুর সারা শরীর দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন নজরুল।
এ সময় নজরুল বাড়ির মালিক শওকত হোসেন ফালুর ছেলে ও ছেলের স্ত্রীকেও কোপানোর জন্য ধাওয়া করেন।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত সাজুকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয় তাকে।
এছাড়া ঘটনার পর নজরুল দা হাতে নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
গোড়াই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (পূর্ব) সাবেক সভাপতি ও বাসার মালিক শওকত হোসেন ফালু জানান, নজরুল ইসলাম আমার বাসার ভাড়াটিয়া।
সাজুও পাশের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নজরুল দা দিয়ে কুপিয়ে সাজুর হাতের কবজি ও দুই আঙুল বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান তিনি।