মির্জাপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রিকশা শ্রমিক হাসান মিয়া ওরফে হাসু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
রবিবার বেলা ১২টায় মির্জাপুর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে হাসুর পরিবারের সদস্যরা এবং পুষ্টকামুরী গ্রামবাসী, অটোরিকশা, টেম্পু শ্রমিকরা তাদের অটো ও টেম্পু বন্ধ করে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
মানববন্ধন চলাকালে হাসু হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে বক্তৃতা করেন সাবেক দুই পৌর মেয়র পুষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন মনি ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রহমান, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা সরকার হিতেশ চন্দ্র পুলক, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ, মির্জাপুর সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বাবর, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান খান বাবুল, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, পৌর আ.লীগের সাবেক সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন আছু প্রমুখ।
আরো পড়ুন – আমাদের দেশের বিচারপতিরা শুধু লাল টেলিফোনের দিকে তাকিয়ে থাকে : হাবীব-উন-নবী খান
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে হাসুর পরিবারের সদস্যদের সাথে তার নিজ গ্রাম পুষ্টকামুরী গ্রামবাসীসহ অটো রিকশা, টেম্পু শ্রমিক, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এসময় তারা হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এদিকে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তাদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন মির্জাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম।
ওসি বলেন, এই মামলায় ইতিমধ্যে লাইলী বেগম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকি আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখে দাঁড় করানোর আশ্বাস দেন।
উল্লেখ, বাড়ীর সীমানা নিয়ে নিহত হাসুর মেয়ের সাথে দেবর সজল, ননদ নিলুফা, শ্বাশুড়ী লাইলি ও দেবরের স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে হাসান মিয়া, মেয়ে রুবিনা, ছেলে রাকিব ও মেয়ে জামাই মান্নানকে নিয়ে রুবিনার শ্বশুর বাড়ী যান।
আরো পড়ুন – মামলার কথা জানেন না পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক
সেখানে মেয়ে রুবিনার দেবর সজলসহ অন্যদের পিটুনিতে হাসু মারা যান।
এই ঘটনায় হাসুর ছেলে রাকিব বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামী করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার