মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকের হামলায় প্রাণ গেল হাসু মিয়ার

মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকের হামলায় প্রাণ গেল হাসু মিয়ার

মির্জাপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মেয়ের বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে গিয়ে হাসান মিয়া ওরফে হাসু (৬৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামে এই হত্যার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ হিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।

নিহত হাসান মিয়া ওরফে হাসু মির্জাপুর পৌর এলাকার পুষ্টকামুরী গ্রামের মোকছেদ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দশ বছর আগে হাসান মিয়ার মেয়ে রুবিনার (২৫) সাথে ভাওড়া ইউনিয়নের সরিষাদাইড় গ্রামের মফেজ উদ্দিনের ছেলে সৌদি প্রবাসী জুয়েল মিয়ার বিয়ে হয়।

কয়েকদিন পূর্বে বাড়ীর সীমানা নিয়ে দেবর সজল, ননদ নিলুফা, শ্বাশুড়ী লাইলি বেগম ও দেবরের বউ ঝুমার সাথে ঝগড়া হয় রুবিনার।

এক পর্যায়ে গত সোমবার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের নির্যাতনের শিকার রুবিনা বাবার বাড়ী চলে আসেন।

বিষয়টি মিমাংসার জন্য শুক্রবার সকালে হাসান মিয়ার মেয়ে রুবিনা, ছেলে রাকিব ও মেয়ে জামাই মান্নানকে নিয়ে রুবিনার শ্বশুর বাড়ী সরিষাদাইড় গ্রামে যান।

সেখানে সীমানা বিরোধ নিয়ে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

এক পর্যায়ে রুবিনার দেবর সজলসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাসান মিয়াকে এলোপাথারি কিলঘুষি মারে; এতে হাসান মিয়া অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

তাঁকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত হাসান মিয়ার ছেলে রাকিব জানান, আমরা বোনের বাড়িতে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতেই বোনের দেবর সজলসহ বাড়ির লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে।

তারা আমার বাবাকে এলোপাথারি কিলঘুসি মারতে থাকে। একপর্যায় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

পরে আমার বাবাকে কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মুত ঘোষনা করেন।

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।  এই বিষয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সম্পাদনা – অলক কুমার