মোটরসাইকেলের জন্য হত্যা, এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দিলো মরদেহ

নাগরপুরে কলেজ ছাত্র আরিফকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র আরিফ মিয়া (২১) হত্যা রহস্য পুলিশ উদঘাটন করেছে।

শুধুমাত্র একটি মোটরসাইকেলের জন্য নিজ চাচাতো ভাই অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র আরিফকে হাতে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

এঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের চাচাতো ভাই উপজেলার নঙ্গিনাবাড়ি গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক জাহাঙ্গীর হত্যার দায় স্বীকার করে।

তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকেলে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ব্রীজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন – নিখোঁজের ১১ দিন পর কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার

পরে লাশটি সাটুরিয়া থানায় নেয়া হয়। এদিকে লুন্ঠিত মোটরসাইকেলসহ অপর আসামী দেলদুয়ার উপজেলার দুল্লা গ্রামের মোকছেদুর রহমানের ছেলে হাবিজুর রহমান রনিকে (৩৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের দেয়া এক প্রেস রিলিজে এসব তথ্য জানানো হয়।

পুলিশের বক্তব্য –

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাগরপুর সদর ইউনিয়নের নঙ্গিনাবাড়ী গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. হোসেন মিয়ার ছেলেও টাঙ্গাইল এমএম আলী কলেজের বিএ (অনার্স) প্রথমবর্ষের ছাত্র আরিফ (২১)।

গত ৮ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাচাতো জাহাঙ্গীর ফুসলিয়ে আরিফকে তার মোটরসাইকেল (পালসার ডাবল ডিক্স) নিয়ে বাড়ী থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশ্য বের হয়ে যায়।

ওই দিন বিকেলে জাহাঙ্গীর একা বাড়ী ফিরে আসে।

আরো পড়ুন – সখীপুরের ভাতিজীকে ধর্ষণ চাঞ্চল্যকর মামলায় চাচার যাবজ্জীবন

বাড়ীর লোকজন জাহাঙ্গীরের কাছে আরিফের কথা জানাতে চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা করে একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে পরিবারকে বিভ্রান্ত করতে থাকে।

দুইদিন পেরিয়ে গেলেও আরিফের কোন সন্ধান না পেয়ে ১০ আগস্ট নাগরপুর থানায় একটি সাধারন ডাইরী করা হয়।

পরে পুলিশ গতকাল শুক্রবার জাহাঙ্গীরকে আটক করে। সে একই গ্রামের দারোগ আলীর ছেলে।

পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে আরিফকে ওই দিনই হত্যা করে তিল্লী ব্রীজের নিচে বস্তায় ভরে ফেলে যায় এবং তার মোটরসাইকেলটি হাফিজুর রহমান রনির কাছে বিক্রি করে।

ঘাতক জাহাঙ্গীরের তথ্য অনুযায়ী নাগরপুর থানা পুলিশ ও ডিবি (দক্ষিণ) টাঙ্গাইলের একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে কালিহাতি থানার রতনগঞ্জ বাজারগামী পাকা রাস্তার পাশ থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার এবং হাফিজুরকে গ্রেপ্তার করে।

আরো পড়ুন – নিবিড় তদন্তের জন্য শিহাব হত্যা মামলা সিআইডিতে- এসপি

আদালত পরিদর্শকের বক্তব্য –

এবিষয়ে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহম্মদ বলেন, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হত্যার দায় স্বীকার করেন।

পরে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দির পর আদালত দুই আসামীকে জেলহাজতে প্রেরন করেন। সম্পাদনা – অলক কুমার