সখীপুরের ভাতিজীকে ধর্ষণ চাঞ্চল্যকর মামলায় চাচার যাবজ্জীবন

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলে এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে দীর্ঘ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে (১৬ আগস্ট) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এই রায় দেন।

রায়ে দন্ডিতকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের আদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

দণ্ডিত ব্যক্তি নাম মো. বাদল মিয়া (৪৫)। তিনি সখীপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামের দরবেশ আলীর ছেলে। বাদল মিয়া সম্পর্কে ধর্ষিতার চাচা।

আরো পড়ুন – সংবাদ সম্মেলনে তোপের মুখে ইউপি চেয়ারম্যান

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারী সরকারি কৌশুলী (এপিপি) মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস জানান, সখীপুরের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে দন্ডিত বাদল মিয়া ২০১৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফুসলিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে তাকে পরিত্যাক্ত একটি ঘরে আটকে রাখে। ওই ঘরে ৬ মাস আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে।

ওই বছর ২৯ জুলাই ওই ছাত্রীকে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থায় ওই ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন – নিবিড় তদন্তের জন্য শিহাব হত্যা মামলা সিআইডিতে- এসপি

পরে ওই ছাত্রীর ভাই বাদি হয়ে সখীপুর থানায় বাদল মিয়াকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

বাদল মিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম ২০১৮ সালের ১ জুন বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন।

আরো পড়ুন – সোহেল হাজারী কোন অথরিটিতে এমপি? জানতে চান হাইকোর্ট

মামলা চলাকালে বাদল মিয়া জামিনে মুক্তির পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। সম্পাদনা – অলক কুমার