সখীপুরে বনের মধ্যে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা।

জোরা খুন

সখীপুর সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের সখীপুরে চাচা ভাতিজাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে লাশ সড়কে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

গতকাল বুধবার আনুমানিক রাত ১১টার দিকে উপজেলার বাঘেরবাড়ী এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন– বাঘেরবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনে ছেলে শাহজালাল মিয়া (৩৫) ও একই গ্রামের নবু মিয়ার ছেলে মজনু মিয়া (৫০)। নিহতরা সম্পর্কে চাচা ভাতিজা।

সখীপুর থানা-পুলিশ আজ বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নিহত শাহজালাল উপজেলার হামিদপুর চৌরাস্তা বাজারে ফেক্সিলোড, বিকাশ ও মুদির দোকান করে।

গতকাল রাত আনুমানিক ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরতে রওনা দেয়।

রাস্তা থেকে তার চাচা মজনু মিয়াকে মোটরসাইকেলের পেছনে তুলে নেয়।

রাত আনুমানিক ১১টার দিকে বনের ভেতর রাস্তা দিয়ে বাঘেরবাড়ী নিজ বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে লাশ দুটিকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়।

তাদের সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেলটি ১০ গজ দক্ষিণে বনের মধ্যে ফেলে রাখে দুর্বৃত্তরা।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয় লোকজন সড়কে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়।

কাকড়াজান ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, নিহত শাহজালাল হামিদপুর চৌরাস্তা বাজারে ব্যবসা করত।

অন্যদিকে তার চাচা একজন সাধারণ কৃষক। তারা উভয়ে সহজ সরল প্রকৃতির লোক। তাদেরকে কেউ খুন করতে পারে–এমন কল্পনা কেউ করতে পারছেনা।

নিহত শাহজালালের বড়ভাই শাহআলম হামিদপুর চৌরাস্তা বাজারে ফলের দোকান করে।

শাহআলম জানান, আমার জানা মতে শাহজালালের কোন শত্রু নেই। টাকা লুটের উদ্দেশ্যে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা তাদের খুন করতে পারে বলে আমার ধারণা।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন আজ সকালে বলেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসছেন।

লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

অধিকতর তদন্ত ও আসামিদের শনাক্ত করতে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

কেন ও কী কারণে এই দুটি হত্যা হয়েছে–এ রহস্য এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। সম্পাদনা – অলক কুমার