মির্জাপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ৮ সদস্যের

মির্জাপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ৮ সদস্যের

মির্জাপুর সংবাদদাতা: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে পরিষদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন ৮ সদস্য।

এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার চেয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছ তারা।

উপজেলার আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আব্দুল কাদের সিকদার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করছেন।

টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপির ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করছেন। তাছাড়া মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও কমিশন নিয়ে থাকেন।

পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কোন রকম সমন্বয় না করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামতো তিনি কাজ করে থাকেন।

এ বিষয়ে কোন সদস্য প্রতিবাদ করলে তাকে আইন আদালতের ভয় দেখান বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক নারী সদস্যদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার অভিযোগও করা হয়েছে অভিযোগে।

এসব দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে পরিষদের ৮ সদস্য গত ১৭ জুলাই টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

আরও পড়ুন- সখীপুরে বনের মধ্যে চাচা-ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা।

৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবুল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারীতার মাধ্যমে একক সিদ্ধান্তে পরিষদ চালান। কারো সঙ্গে সমন্বয় নেই।

তার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোন সদস্য মুখ খুলতে সাহস পায়না।

এত অবমূল্যায়ন এর আগে কোন চেয়ারম্যান কোন সদস্যকে করেছেন কী না তা তার জানা নেই বলে তিনি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের সিকদার বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে গত এক বছরে তিনি যত কাজ করেছেন সবই দৃশ্যমান। এতে বিন্দুমাত্র অনিয়ম বা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি বলেন, পরিষদের অধিকাংশ সদস্য বিএনপি সমর্থিত। ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে তিনি বঙ্গবন্ধুর একটি ম্যুরাল এবং একটি স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করায় তারা ক্ষেপেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এই অভিযোগ তুলেছেন।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক শামীম আরা রিমির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।