নিজস্ব প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, জলবদ্ধতা হতেই পারে।
রাজধানী ঢাকার শহর পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। চিটাগাং শহরেরও একই অবস্থা।
টাঙ্গাইল ছোট্ট একটা শহর তাৎক্ষনিক পানি নিষ্কাশনের তড়িৎ ব্যবস্থা আছে কোথাও। পানি আউট হতে সময় দিতে হবে। বৃষ্টিতে পানি জমাট হবে এটাই স্বাভাবিক।
টানা এক ঘন্টার বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল শহর তথা পৌরসভার প্রধান সড়কে হাটু পানি জমে যায়। এই বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টায় টাঙ্গাইল পৌরসভা, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে হাটু পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।
এছাড়াও নিউ মার্কেট, ভিক্টোরিয়া রোড, পার্ক বাজার, শহীদ জগলু রোড, আদালতপাড়া, থানা পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়কে এই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ভূমি অফিসের পাশের একটি ফাস্টফুডে কথা হয় শহীদুজ্জামান নামে এক যুবকের সাথে।
তিনি বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর আমি মোটর সাইকেল রাস্তায় রেখে এই ফাস্টফুডের ভিতরে প্রবেশ করি।
এক ঘন্টা পর এসে দেখি আমার মোটর সাইকেলের অর্ধেক তলিয়ে গেছে। জেলার প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার এই অবস্থা!!!
আমরা প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় ভ্যাট, ট্যাক্স দিলেও তৃতীয় মানের পৌরসভারও সুযোগ সুবিধা পাইনি।
পথচারি কাবেল উদ্দিন বলেন, শহরের প্রধান রাস্তার যে অবস্থা তাতে নৌকা চালানো যাবে।
কয়েক মিনিট আগে এক পথচারী পড়ে তার টাকা ও মোবাইল ফোন ও শরীরের কাপড় নষ্ট হয়েছে।
একদিকে অন্ধকার, আরেক দিকে জলবদ্ধতা। যাতায়াতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
প্রাইভেটকার চালক প্রদীপ ঘোষ বলেন, রাস্তায় পানি থাকায় গাড়ির ভিতরে পানি প্রবেশ করছে।
বৃষ্টির পানির সাথে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। যে পানি আছে তাতে কয়েক ঘন্টায়ও নিষ্কাশন হবে না।
তিনি আরো বলেন, দুর্ভোগের আরেক নাম টাঙ্গাইল পৌরসভা।
ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তায় পানি থাকার কারণে কয়েকজন হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে। চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এটা কি দেখার কেউ নাই।
সম্পাদনা – অলক কুমার