খবর বাংলা
,
ডেস্ক
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় সাভারের একটি রিসোর্টে বসে পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে উঠে এসেছে। হত্যামিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া চারজনের মধ্যে ছিলেন প্রধান শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান, তার পরিচিত মারিয়া আক্তার লিমা, মোটরসাইকেল চালক আলমগীর হোসেন এবং আরও এক নারী।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভোরে সাভারের মধুমতি মডেল টাউনের গ্রিন জোন রিসোর্টে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ভোর ৫টা ২৩ মিনিট থেকে সকাল ৮টা ৫৪ মিনিট পর্যন্ত রিসোর্টের একটি কক্ষে চারজন অবস্থান করেন।
তদন্তে আরও জানা যায়, রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আলমগীর হোসেন নাইট ডিউটিতে থাকা এক কর্মীর মাধ্যমে ২০৪ নম্বর কক্ষটি বুকিং দেন। পরে ভোর ৪টা ৮ মিনিটে আলমগীরের পরিচয়ে দুই নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফয়সাল, আলমগীর ও দুই নারী একসঙ্গে রিসোর্ট ত্যাগ করেন।
গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, ওই সময় কক্ষে হাদির ওপর হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করা হয়। এ সংক্রান্ত কথোপকথনের অডিও রেকর্ডও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও, পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে যে হামলার ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই ফয়সাল ও আলমগীর ওই এলাকা ত্যাগ করেন। ঘটনার তদন্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগের সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরিবারের সম্মতিতে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে ডিবির তদন্তাধীন রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, এই মামলায় ফয়সালের মা–বাবা, স্ত্রী ও শ্যালকসহ মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে কয়েকজন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র : খবর সংযোগ











