আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হকের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠায় পুলিশ।
বিজ্ঞ আদালত আগামি রোববার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসমত আরা আগামি রোববার রিমান্ড আবেদনে শুনানির দিন ধার্য্য করেছেন।
পরে সহিদুরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এসেছিলেন সহিদুর রহমান।
হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে বিকেলে টাঙ্গাইল আদালত এলাকা থেকে তাকে আটক করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহম্মদ জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নূরুল হকের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি নূরুল হকসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা আব্দুল হামিদ খানের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান।
এসময় তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান বাদি হয়ে ১ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় সহিদুর রহমানের নাম ছিলো না।
সহিদুর রহমান খান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে।
সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ওরফে রানার ভাই।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুর রহমান গত ২২ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে স্থায়ী জামিন লাভ করেন।
পরে তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য তারিখে তিনি অ্যাম্বুলেন্সযোগে আদালতে আসেন।
হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে আদালত চত্ত্বরের বাইরে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।