নিজস্ব প্রতিবেদক : সংবাদ প্রচারের পর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ভাটচান্দা মাগুরাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেই হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মজিদা জাহান মিতুকে শোকজ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শোকজ করেন।
এর আগে গতকাল খবরবাংলা২৪ ডটকম অনলাইন পোর্টালসহ বেশ কয়েকটি মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি উর্ব্ধতন কর্মকর্তার নজরে আসলে তাকে শোকজ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুজ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, সপ্তাহে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে ৩টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও মজিদা জাহান মিতু ২০১৬ সালে যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি অফিস করেন না।
এছাড়াও ১০টার পর অফিসে এসে ১২টার আগেই চলে যান।
এতে স্থানীয় সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
টাকার বিনিময়ে সরকারি ওষুধ বিতরণ ও রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে মজিদা জাহান মিতুর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও ওষুধের জন্য ৫ থেকে ২০ টাকা না দিলে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে মিতুর বিরুদ্ধে।
বুধবার ফটকে তালা দেখে সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করলে ভাটচান্দা মাগুরাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মজিদা জাহান মিতু মুঠোফোনে বলেন, আমার ল্যাপটপ নষ্ট হয়েছে।
এছাড়াও অফিসে মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তাই অফিসে আজ আসবো না।
৫ মিনিট পর ফোন করে বলেন, আমি এখনই আসতেছি। ১৫ মিনিট পর ১২টায় তিনি দ্রুত অফিসে আসেন।
বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও তিনি দুপুর দেড়টায় অফিস ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে অফিস করার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টায় অফিসে যান মিতু।
সাথে তার বাবা ও স্বামীকেও নিয়ে যান। কেন নিউজ প্রকাশ করা হলো এর কৈফত চান মিতুর বাবা।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –
ভাটচান্দা মাগুরাটা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শওকত হোসেন বলেন, বুধবার তাকে ক্লিনিকে না পেয়ে ফোন করলে তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি।
এই ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩ ওয়ার্ডের ২০ হাজারের অধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, মিতুকে শোকজ করা হয়েছে। ৫ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়েছে।