নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্মাণাধীন গার্মেন্টস’র বর্জ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল।
পার্শ্ববর্তী উপজেলার দুই যুবক সখীপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের ঘেচুয়া গ্রামের প্রায় ৩৯ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে বেগুন, কচু, স্কোয়াশ, পেপে, ঢেড়স, শিম, বরবটিসহ নানা ধরনের সবজি চাষের উদ্যোগ নেয়।
আধুনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষে ভালই সাফল্য পায়তারা।
হঠাৎ পার্শ্ববর্তী ফ্যাক্টরীর বর্জ্য ও সিমেন্ট মিশ্রিত পানি তাদের সফলতার কাধে চপেটাঘাত করে।
এতে বিপাকে পড়ে যান ওই দুই যুবক। তারা ওই সবজি বাগানে ৪০ লাখ টাকার মূলধন বিনিয়োগ করেছেন।
কিন্তু গামেন্টস ফ্যাক্টরীর বর্জ্য এবং একটি দেয়াল ধসে তাদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার সবজি বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এবিষয়ে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষিকর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলেও গার্মেন্টস মালিকরা প্রভাবশালী বিধায় বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষি উদ্যোক্তা যুবকদ্বয়কে হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানান ওই উদ্যোক্তারা।
কৃষি উদ্যোক্তা সোহেল জানান, প্রায় এক বছর আগে স্থানীয় আব্দুল আওয়ালসহ বেশ কয়েকজনের নিকট থেকে তিনি ও তার এক ভাই মিলে সবজি বাগান করার উদ্যেশ্যে ৫ বছরের জন্য জমি ভাড়া নেন।
প্রথম বছরে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় আশানুরুপ সবজির ফলন হয়।
কিন্তু পাশে একটি নির্মাণাধীন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর বর্জ্য নির্গত হয়ে এবং একটি দেয়াল ধসে তাদের বাগানের প্রায় ১৫ লাখ টাকার সবজি বিনষ্ট হয়।
সখীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন জানান, সবজি বাগানের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ পেয়েছেন একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করছেন।
তদন্ত শেষে ইউএনও মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
এবিষয়ে গ্লোবাল প্রোফিট গার্মেন্টর ঠিকাদার অলি মিয়া জানান, এটি একটি দুর্ঘটনা।
তবুও তিনি বিষয়টি সমাধান করতে স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছিল, কিন্তু সফল হয়নি।
সখিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ হোসেন পাটোয়ারী জানান, সখীপুরে নির্মাণাধীন গার্মেন্টস’র বর্জ্যে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল।
এই সংক্রান্ত একটা অভিযোগ পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন।