আদালত প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সর্বশেষ সাক্ষি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পঞ্চম বারের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য ছিল ৮ ফেব্রুয়ারি।
কিন্তু আজ তিনি সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি। যার জন্য এই চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামি ২৫ ফেব্রুয়ারি।
মামলার সর্বশেষ সাক্ষি ও তদন্তকারী কমকর্তা ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অশোক কুমার সিংহ।
আরো পড়ুন – সাধারণ ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি
কেন তিনি আজ সাক্ষ্য দিতে আসেন নি? জানতে চেয়ে মুঠোফোনে কথা হয় তার সাথে।
এসময় তিনি জানান, এই পর্যন্ত আমি চার বার গিয়েছি, একবারও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।
আর এইবার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আমি সরকারি ভাবে কোন কাগজ বা চিঠি পাইনি।
আমাকে সরকারিভাবে বা থানা থেকে কোন সমন পাঠানো হয় নি।
এসময় তিনি জানান, এর আগেরদিন বিচারক আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আপনি সমন পেয়েছেন কিনা?
আমি বলেছি “না স্যার, হোয়াসটঅ্যাপ পাইছি”। তখন বিচার আমাকে বলেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ পাইলেও তো সমন পাওয়ার কথা।
এসময় তিনি আরো জানান, রাষ্ট্র বাদি মামলায় পাবলিক সাক্ষি ও অবসরপ্রাপ্ত সাক্ষিদের যাতায়াত ও খাবার ভাতাও দেয়া হয় না; নিজ খরচেই চার বার গিয়েছি।
এই বিষয়ে নিহত ফারুক আহমেদের ছেলে আহমেদ সুমন মজিদ বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক, সমন জারি তো আমার দায়িত্ব না।
এসময় তিনি বলেন, আমি তো তাদের প্রশ্ন করতেও পারি, কেন তারা সময় সঠিক সময়ে পাঠালো না, অফিশিয়াল চিঠির দায়িত্ব তো আমার না, যারা দায়িত্বশীল তাদের।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি দায়িত্বের গাফিলতি এটা। সাক্ষি কেন জানবে না?
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল তাঁত শাড়ির জিআই স্বত্ব নিয়ে ফুঁসে উঠছে জেলাবাসী
এই বিষয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ইন্সপেক্টর তানবীর আহমেদ বলেন, মামলার শুনানি বা সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ঘন ঘন পরায় আমরা দ্রুততার সাথে সমন রেডি করে বগুড়া জেলা পুলিশের কাছে পাঠিয়েছি মঙ্গলবার।
বগুড়া জেলা পুলিশ হয়তো সঠিক সময়ে সেই সমন মামলার সাক্ষির কাছে হয়তো পৌঁছাতে পারে নাই।