দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা সাংবাদিক কাজলকে উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে যেভাবে আইনী প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।
সংস্থাটি বলছে, অপহরণের শিকার একজন নাগরিককে পিছমোড়া করে হাতকড়া লাগানো, একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর তার মুক্তি আটকাতে অপর একটি আইনের অপব্যবহার করে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা এবং কারাগারে স্বজনদের দেখা করতে বাঁধা দেওয়া মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
মঙ্গলবার সংস্থাটির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার যখন কারাবন্দীদের মুক্তি দিচ্ছে, তখন কাজলকে যে প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে তার কোন যৌক্তিকতা নাই।
খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা রাষ্ট্রদ্রোহীতার মতো ভয়ঙ্কর কোন মামলার আসামি নন কাজল। তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিন্ন যে তিনটি মামলা হয়েছে, তাও কেবল ফেসবুকে মত প্রকাশের জন্য। এসব মামলার অন্তত একটিতে অন্য আসামিরা জামিনে মুক্ত আছেন।
তিনি বলেন, আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্র ক্রমাগতভাবে সংকুচিত হচ্ছে এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একের পর এক মামলার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। এই প্রবণতা ভয়ের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তথা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। আর্টিকেল নাইনটিন আইনটি বাতিলের দাবি জানায়। সূত্র – আমাদের সময় ডট কম