নিখোঁজের ছয়দিন পর কলেজ ছাত্র আশিকের লাশ উদ্ধার

টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ছয়দিন পর মঙ্গলবার বিকেলে এক কলেজ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন আশিক (১৮)। তিনি শহরের কাগমারা এলাকার বাসিন্দা ও পুলিশে কর্মরত রাশেদুল ইসলামের ছেলে এবং মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বিকেলে ওই ছাত্রের বাড়ির কাছেই লৌহজং নদে তার লাশ ভেসে উঠে। এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশ উদ্ধার করে। লাশের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

লাশ উদ্ধারের পর এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ওই মেয়েটির বাড়িতে হামলা চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ওই ছাত্রের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকায় তার প্রেমিকার বাসায় মুঠো ফোন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে আশিকের মা টাঙ্গাইল সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।

নিখোঁজ আশিকের বাবা রাশেদুল ইসলাম পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে কর্মরত। তিনি জানান, কয়েক মাস আগে থেকে প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে তার ছেলে আশিকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আশিক ওই মেয়ের সাথে কথা বলার জন্য তাকে একটি মোবাইল ফোন সেট উপহার দেয়। মেয়ের বড় ভাই বিষয়টি জানার পর আশিককে মোবাইল ফোন ফেরত নিতে তাদের বাসায় ডাকেন। আশিক গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে ওই মেয়ের বাসায় মোবাইল ফোন সেট আনতে যায়। তারপর থেকে আশিক নিখোঁজ ছিলো।

ওই এলাকার বাসিন্দা পারভীন বেগম জানান, ওই দিন রাতে ওই মেয়ের বাসায় দিকে আশিককে যেতে দেখেছেন। তার পরে কি হয়েছে সেটি আর তিনি বলতে পারেননি। আশিকের বড় বোন লিমা আক্তার জানান, তার ভাই আশিক ওই মেয়ের বাসায় মোবাইল ফোন আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন। মেয়ের পরিবারের সদস্যরা তার ভাইকে গুম করেছেন বলে তিনি জানান।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, লাশ উদ্ধারের পর ওই মেয়েটিকে এবং তার বাবা-মা ও কয়েকজন স্বজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।