টাঙ্গাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকসহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে নতুন মামলা

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক
সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

আদালত প্রতিবেদক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগ সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ ১১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

এই মামলায় আরো ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জেলার মধুপুর উপজেলার মালাউড়ী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে জাহিদ হাসান বাদি হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।

আরো পড়ুন – বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলে প্রথম গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এমএ মালেক আদনানকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মধুপুর থানা আমলী আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়।

বিচারক পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে পরে আদেশের জন্য রাখেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্থানীয় সমন্বয়কদের নেতৃত্বে মধুপুর হাসপাতালের সামনে থেকে একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের হয়।

শান্তিপূর্ণ মিছিলটি মধুপুর বাসস্ট্যান্ডে আনারস চত্বরে হামলা শিকার হয়।

সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের হুকুমে সশস্ত্র আসামিরা ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর দা-কুড়াল ও লাঠিসোটাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।

এতে মামলার বাদিসহ বেশকয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হন।

এছাড়াও মামলায় আসামী করা হয়েছে- সাবেক মধুপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, সাবেক মেয়র মধুপুর মাসুদ পারভেজ, সাবেক মেয়র মধুপুর সাবেক মেয়র মধুপুর, কুড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হেলাল, আউশনারা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে সেতু এনজিও’র সহকারী হিসাবরক্ষকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ

বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম. এ. মালেক আদনান জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মধুপুরে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে দণ্ডবিধির বেশকয়েকটি ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে

মামলাটি মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।