আধুনিক লাইফস্টাইলের জন্য আমাদের অনেকের ওজন বেড়ে যায়। এই ওজন কমাতে অনেকে অনেক চেষ্টা করে থাকেন। ওজন কমানোর জন্য অনেকেই হাঁটাকেই বেছে নেন। তবে তার থেকে বেশি কার্যকরী সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করা।
এতে ক্যালরি অনেক দ্রুত ও বেশি পরিমাণে ঝরে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী গতি বাড়ানো কমানো যায়।
আমেরিকান কাউন্সিলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই পদ্ধতিতে প্রতি মিনিটে ৮ থেকে ১১ ক্যালরি ঝরতে পারে। এ ছাড়া আরো অনেক উপকারে আসে।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
হার্টের পেশি শক্তিশালী হয়
সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করলে হার্টের পেশি শক্তিশালী হয়। হার্ট রেট বাড়াতে পারে এই পদ্ধতি। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে।
ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমে
ডিপ্রেশন ও উদ্বেগের আশঙ্কা কমাতে পারে এই পদ্ধতিতে। এন্ডোরফিনের মতো হরমোন নিঃসরণে সাহায্য করে। এতে মন ভালো থাকে। একইসঙ্গে মানসিক চাপও কমতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
মাত্র দশ মিনিট সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেই ডায়বেটিস থাকতে পারে নিয়ন্ত্রণে। এমনকি যারা এই পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
হাড় ও পেশির গঠনে সাহায্য করে
হাড় ও পেশির গঠনে সাহায্য করে এই পদ্ধতি। এর ফলে হাড়ের ঘনত্ব ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। অস্টিওপোরেসিস ও অস্টিওআর্থারাইটিসের আশঙ্কা কমাতে পারে।
পেটের মেদ কমায়
অনেক সময় বিভিন্ন শরীরচর্চা করলেও কমে না পেটের মেদ। শুধু পেটই নয়, শরীরের নিচের অংশের ওজন কমিয়ে গঠনে সাহায্য করে।
ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে
ব্রেনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এই পদ্ধতি। ডিমেনশিয়া, অ্যালাজাইমার্সের মতো রোগের আশঙ্কা দূর করে। শুধু মস্তিষ্কই নয়, শ্বাসযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। যা সামগ্রিকভাবে ফিট থাকতে সাহায্য করে।
ভালো ঘুমে সাহায্য করে
যেকোনো ধরনের শরীরচর্চার সঙ্গে ঘুমের বিষয়টি সম্পর্কিত। দিনে ১৫ মিনিট এই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলে ঘুম ভালো হতে বাধ্য। একইসঙ্গে মেজাজ ভালো রাখাও যায় এই পদ্ধতিতে। মাত্র ১৫ মিনিটেই মুড হতে পারে চাঙ্গা।