বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চাওয়ার বিষয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত জানতে চেয়েছে, চিঠিটি কেন অবৈধ নয়।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ রিটের শুনানির পর এই আদেশ দেন।
রিটকারীর আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, আগামী ৬ অক্টোবরের বিসিবি নির্বাচনে এই স্থগিতাদেশ কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না।
প্রসঙ্গত, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হিসেবে মনোনীত সাবেক খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিসিবিতে ফরম জমা দিয়েছেন। তবে যেসব জেলা ক্রীড়া সংস্থা অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলরের জন্য মনোনয়ন দেয়নি, তাদের আবেদন বাতিল করেছেন বিসিবি সভাপতি। এরপর তিনি নিজে সই করে অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল সমর্থিত প্যানেল চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন। যদিও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গঠনতন্ত্র মেনে সব কাজ করা হচ্ছে।”
তথ্য অনুযায়ী, জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের সইয়ে ৫৩টি ফরম বিসিবিতে জমা পড়েছে। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) ঘোষিত অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর না দেয়ায় সেগুলো বাতিল করেছেন বিসিবি সভাপতি। গঠনতন্ত্রের ১২ এর ৭ ধারা অনুযায়ী পুনরায় কাউন্সিলর পাঠানোর সুযোগ নেই, এবং বিসিবি সভাপতির এমন নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতাও নেই।