নিজস্ব প্রতিবেদক : কেন্দ্রীয় গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক ও উচ্চতর সদস্য শাকিল উজ্জামান বলেন, আমরা যখন রাজপথে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন সচিবালয়ের ভিতর থেকে আমলারা শেখ হাসিনার জন্য মিছিল করেছে।
বিগত সময়ে শেখ হাসিনার পক্ষে মিছিল করা আমলারা এখনও কিভাবে সচিবালয়ে কর্মরত থাকে?
শেখ হাসিনার এই সকল দোসদের কারণেই সচিবালয়ে অগ্নিসংযোগ হয়েছে।
এই দোসররাই পরিকল্পিতভাবে সচিবালয়ের ভিতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার দাস ও দোসররা এখনও দেশে রয়েছে।
তারা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে।
বিগত ১৬ বছরে শেখ হাসিনা মেগা প্রকল্পের দুর্নীতি ও লুটপাট এবং অপরাধ করেছে, এসব চিত্র যাতে বহির্বিশ্বে প্রচার না হয় সেজন্য শেখ হাসিনা তার সচিবালয়ের দোসরদের দিয়ে নথিপত্রগুলো পুড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে।
শেখ হাসিনা তার দোসরদের দিয়ে সচিবালয়ের দুর্নীতির নথিপত্র পুড়িয়েও অপরাধ থেকে রেহায় পাবে না।
দুর্নীতির জন্য শেখ হাসিনাকে সর্বোচ্চ শাস্তি পেতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার সরকার, কোন গোষ্ঠীর সরকার নয়।
আমরাও চাই কিছু যৌক্তিক সংস্কার হোক। যৌক্তিক সংস্কারের পরেই নির্বাচনটা হোক। এতো তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে আমাদের নির্যাতন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন উদয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক প্রিয়ম আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ফাহাদুল ইসলাম ফাহাদ, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাসেল, ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিন মিয়া, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম সিয়াম আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তামান্না ইসলাম তরী প্রমুখ।