সম্প্রতি পতিত স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ এমপিদের প্যাডে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাতের জন্য একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সাবেক এই নগরমন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সেই চিঠিতে একবারের জন্যও প্রফেসর ইউনূসকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান হিসেবে উল্লেখ করেননি। এমনকি তিনি সেই চিঠিতে ড. ইউনূসেকে মধ্যাহ্নভোজ অথবা বিকেলের চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে সর্বমহলে। প্রবাসী সাংবাদিক কনক সরোয়ার সম্প্রতি তার ইউটিউব চ্যানেলে টিউলিপের এমন কর্মকাণ্ডকে ধৃষ্টতা এবং বেয়াদবী হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।
প্রবাসী এই সাংবাদিকের মতে, সাধারণ একজন সংসদ সদস্য হয়ে কি করে টিউলিপ সিদ্দিক অন্য দেশের প্রধান উপদেষ্টাকে দেখা করতে বলার ধৃষ্টতা দেখায়? এই চিঠিতে ড. ইউনূসের পদমর্যাদা উল্লেখ না করায় টিউলিপ সিদ্দিককে বেয়াদবও আখ্যা দেন প্রবাসী এই সাংবাদিক। তার মতে, টিউলিপ তার খালা হাসিনার পদাঙ্কাংকই অনুসরণ করছেন। হাসিনা যেভাবে ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন ঠিক সেভাবেই ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন, মনুষকে অপমান করছেন শেখ রেহানার মেয়ে।
এসময় তিনি টিউলিপের দেওয়া সেই চিঠির বরাতে আরও উল্লেখ করেন, এই সাক্ষাতের মাধ্যমে টিউলিপ নিজেকে প্রমাণ করতে চাইছেন যে তিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন এবং বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধ আর দুর্নীতির সাথে তিনি জড়িত নন। কিন্তু বাস্তবতা যে বলছে ভিন্ন কথা। ইউনূস প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগের কারণেই টিউলিপ যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর তার খালা বাংলাদেশের সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধান হাসিনার দুর্নীতি করা টাকায়ই টিউলিপ যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নিয়েছেন, হয়েছেন এমপি এমনকি ছিলেন মন্ত্রীও। এমন কথাই জনশ্রুতি রয়েছে সর্বদিকে। আর তার বাংলাদেশের নাগরিকত্বেরও প্রমাণ মিলেছে ইতিমধ্যে।
ড. ইউনূসের যাত্রা –
এদিকে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্য রয়েছেন। ৯ জুন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন তিনি। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা রাজা চার্লসের সাথে দেখা করবেন এবং ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের সাথে বৈঠকে মিলিত হবেন।
প্রতিক্রিয়া –
ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভাগনী টিউলিপ সিদ্দিক এভাবে মিথ্যা বলে চিঠিতে তার নির্দোষের গলা ফাটালেও বাংলাদেশের মানুষ তার কথা আমলে নিচ্ছে না কোনভাবেই। আর ড. ইউনূসকে এভাবে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ জানিয়ে লেখা চিঠির কারণে তাকে বেয়দব বলে আখ্যা দিচ্ছেন নেটিজেনরাও।