অলক কুমার : ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচননে সহিংসতায় জেরে ও হত্যার মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত-সমালোচিত ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা ও সাগরদীঘি এলাকার এডভোকেট ফরহাদ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি হেকমত সিকদারকে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে বিজ্ঞ আদালত।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঘাটাইল-বাসাইল আমলী আদালতের বিচারক ফারজানা হাসনাত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, সোমবার সকালে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে হেকমত সিকদারকে আদালতে তোলা হয়।
রিমান্ড মঞ্জুরের পর হেকমত সিকদারকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সিআইডির সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেবেন।
এরআগে রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে হেকমত সিকদারকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
টাঙ্গাইল সিআইডি’র পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান আকন্দ জানান, মামলা দায়িত্ব পেয়ে তারা সরেজমিনে ঘটনার পূর্বাপর তদন্ত শেষে রবিবার দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করে বিকালে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছিল।
সোমবার (২ জানুয়ারি) রিমান্ডের শুনানির দিন ধার্য করা হলে শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গ্রেপ্তারের পর –
এদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের গ্রেফতারের খবরে ওই দিন তার শাস্তির দাবিতে সাগরদিঘী বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
২০১৮ সালের ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনের আগের রাতে সোনামুড়ি গুপ্ত বৃন্দাবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের সময় পুলিশের গুলিতে গুপ্ত বৃন্দাবন গ্রামের নেছার আলীর ছেলে যুবদল নেতা মালেক মিয়া নিহত হন।
এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে ঘাটাইল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
এরপর নিহত যুবদল নেতা মালেক মিয়ার পরিবারের দায়েরকৃত মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারকে আসামি করা হয়।
মামলাটি একাধিক তদন্তকারী সংস্থা তদন্তের পর সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বদলি করার হুমকি, কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, বন বিভাগের জমি দখল করে লেবু বাগান, কলা বাগান ও ড্রাগন বাগান তৈরি করা, সংরক্ষিত বনের শাল ও গজারির বাগান কাট ও সরকারি ভ‚মি দখল করাসহ অপরাধমূলক নানা ধরণের অভিযোগ রয়েছে।