অলক কুমার : ঘাটাইলে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে দেখা দিয়েছে ফাটল; আর এতে আতঙ্কে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের ঘরের বাসিন্দারা।
মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না- এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলের ঘাটাইলেও ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর দেওয়া হয়।
সেই ঘরগুলো বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। এ ছাড়াও পানি ও পয়ঃনিস্কাশন সমস্যাসহ রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। ফলে ঘরগুলো দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৫০টি ঘর রয়েছে। ঘর নির্মাণের কিছুদিন না যেতেই বেশির ভাগ ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল।
পরে সেই সময় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু কিছুদিন পরেই বর্তমানে আবারও ঘরগুলোতে বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়।
খসে পড়ছে ঘরের পলেস্তার। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় পরিবারগুলো।
আরো পড়ুন – ইউপি নির্বাচনে দলীয় তালিকা প্রেরণে জেলা আ’লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই এমন দশা হয়েছে।
তবে এমন কাজে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫০টি ঘর; বর্তমানে বেশিরভাগ ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে; খসে পড়ছে পলেস্তার।
ঝড় আসলে আতঙ্কে দিন কাটে বাসিন্দাদের। এতে করে যেকোনও সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
আরো পড়ুন – ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করেন ইউপি সদস্য
ভূক্তভোগী বাসিন্দাদের কথা –
এবিষয়ে গৌরিশ্বর আশ্রয়ন প্রকল্পের ১ নং ঘরের বাসিন্দা মাসুম মিয়া বলেন, এখানে মোট ৫০টি ঘরে রয়েছে। একদিকে ৩১টি আর অন্যদিকে ১৯টি। এই ১৯টির বেশিরভাগ ঘরেই ফাটল দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ৫ নম্বর ঘরের পারভিন, ৬ নম্বর ঘরের শিল্পী ও ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা লিজাসহ আরও অনেকে বলেন, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আমরা অনেক খুশি।
কিন্তু ঘর নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তার খসে খসে পড়ছে; ঝড়ের সময় শিশু সন্তান নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, যে খুশিতে ঘরে উঠছিলাম তা আতঙ্কে রূপ নিয়েছে।
মাঝে মধ্যে ফাটল মেরামত না করে স্থায়ী মেরামত ও ঘর পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরোরা পড়ুন – টাঙ্গাইলে চেয়ারম্যানের বিচারের দাবিতে ইউপি সচিবদের স্মারক লিপি প্রদান
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য –
এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাটির কারণে কয়েকটি ঘরে সমস্যা দেখা দিয়েছে; ঠিকাদারদের বলে তা মেরামত করে দেওয়া হবে।
ঘর নির্মাণে আগে মাটি পরীক্ষা করে নেওয়া হয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই কর্মকর্তা।