নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার দিকে রওনা দেয়।
গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাতদল যাত্রীবেসে ওই বাসে উঠে পড়েন।
এরপর সিরাজগঞ্জের গোল চত্ত্বর (রোড) থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত অন্তত ১৪/১৫ জন অল্পবয়স্ক যাত্রী উঠে গাড়িতে।
এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়েন্ত্রনে নিয়ে নেয়।
পরে বাসে থাকা সকল যাত্রীর হাত, পা ও চোঁখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করে; এসময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষন করে।
বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ডিবির উপর উঠিয়ে দিয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন (বিপিএম) জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে রাতের খাবারের জন্য বিরতি দেয়।
রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহনকরা ১০/১২ জন তরুণ যাত্রী উঠেন।
বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই তরুণ দল দেশীয় অস্ত্রের মুখে একে একে যাত্রীদের সবাইকে বেঁধে ফেলে।
কয়েক মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, নগদ টাকা, স্বর্নালংকার লুট করে নেয়; এরপর এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করে তারা।
পরে বাসটি বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে।
পরে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ডিবির উপর উঠিয়ে দিয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষিত ওই নারীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার