অলক কুমার : জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সকল পণ্যের পরিবহণ খরচ বেড়ে যাবে; সাথে সাথে দ্রব্যমূল্যও বেড়ে যাবে।
আগে যেখানে ২০ কেজি চাল কিনতাম, এখন সেখানে ১৫ থেকে ১৮ কেজি কিনতে হবে। সবক্ষেত্রেই কিছু কিছু ব্যয় কমাতে হবে।
আমাদের আয় বাড়বে না বরং কমবে, কারণ সবকিছুর দাম বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা আরো কমে যাবে।
কথাগুলো বলেছেন টাঙ্গাইল শহরের পাঁচআনী বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।
এসময় তিনি আরো বলেন, ধনীর ধন আছে, গরীব হাত পাততে পারে, মরণ মধ্যবিত্তের।
আরো পড়ুন – সখীপুরে বৃদ্ধা মাকে বাড়ী থেকে তাড়িয়েছে কুলাঙ্গার সন্তানরা
হঠাৎ করে ডিজেল, পেট্রোল অকটেনসহ সকল জ্বালানী তেলের বৃদ্ধি করায় মানুষের মধ্যে এক উদ্বেগ দেখা দেয়।
মুহুর্তের মধ্যেই শত শত মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন তেল নিতে পাম্পে চলে আসে; শুরু হয় ব্যাপক হট্রগোলের।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করতে হয়েছে।
একসাথে এত যানবাহনের তেল দিতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ে তেলের পাম্পের লোকজন।
এই পরিস্থিতিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের পাম্পের লোকজনদের সহযোগিতা করতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন – শিহাব হত্যা মামলা : আর কোন আসামি গ্রেপ্তার নাই
এসময় মনির হোসেন নামে আরে ব্যবসায়ী বলেন, তেলের দাম বেড়ে যাওয়াতে আমাদের অনেক কষ্ট হবে। তিনি বলেন, এভাবে আমাদের হয়রানী করার কোন মানে হয় না।
বিক্রয় ও বিপণনে চাকুরী করা এক ব্যক্তি বলেন, আমাদের জন্য অনেক ক্ষতি হবে এটা। কারণ প্রতি লিটারে প্রায় ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই বিষয়ে এক স্কুল শিক্ষক বলেন, তেলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়াতে মানুষের মধ্যে একটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আমাদের জীবনধারণের খরচ কিন্তু আরো একধাপ বেড়ে গেলো, জানিনা কি হবে!
আরো পড়ুন – হত্যাকারী আইনের আওতায় আসবে কি? শঙ্কায় নিহত শিহাবের পরিবার
তেল নিতে আসা এক মেডিকেল রিপ্রেজেটেটিভ বলেন, অনাকাঙ্খিত ভাবে তেলের দামটা বাড়ানো ঠিক হয়নি; এটা মানুষের জনজীবন যাত্রার মানকে আরো নিচে নামিয়ে দেবে। সম্পাদনা – অলক কুমার