ডেস্ক নিউজ : টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মূল হোতা রতন (২১) হোসেন পেশায় বাসের হেলপার।
এর আড়ালে গত ৫ বছর ধরে বাস ডাকাতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।
গত ছয় মাসে তিনি অন্তত ১০টি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
টাঙ্গাইল বাস ডাকাতির ঘটনায় এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকা থেকে রতন ও তার নয় সহযোগীকে গ্রেপ্তারের পর আজ এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন।
র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে মঈন বলেন, ২০১৮ সালে ঠিকানা পরিবহনে ডাকাতি এবং ২০২০ সালে একটি অটোরিকশা ডাকাতি করে।
এই দুই ডাকাতির ঘটনায় রতন দুইবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
এসব ঘটনায় প্রায় আড়াই বছর জেলে ছিলেন তিনি; নয় মাস আগে জামিনে বেরিয়ে আসেন। ৩ দিনের পরিকল্পনায় টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতি হয়।
গ্রপ্তার অন্য নয়জন হলেন- আলাউদ্দিন (২৪), সোহাগ মণ্ডল (২০), খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দিপু (২৩), বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১), মো. জীবন (২১), আবদুল মান্নান (২২), নাঈম সরকার (১৯), রাসেল তালুকদার (৩২) ও আসলাম তালুকদার রায়হান (১৮)।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজন গার্মেন্টস কর্মচারী এবং বাকিরা বিভিন্ন বাসের হেলপার।
নিয়মিত কাজের আড়ালে তারা ডাকাতি করে আসছিল।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, রতন যেকোনো ডাকাতির পরিকল্পনা করার পর, অন্যরা এক জায়গায় জড়ো হয়, ডাকাতি করে এবং তারপর আত্মগোপন করে।
মঈন বলেন, একজন নারী যাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ করলেও গ্রেপ্তারকৃতরা র্যাবকে জানায়, তারা টাঙ্গাইল বাসের ভেতরে একাধিক নারী যাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেন।
নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন বলে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।
র্যাব জানায়, টাঙ্গাইলে বাস ডাকাতিতে এই চক্রের ১৩ সদস্য অংশ নেয়। এর মধ্যে তিনজনকে আগেই গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে যাত্রীদের ২০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানায়। তথ্য – ডেইলি স্টার, সম্পাদনা – অলক কুমার