নিজস্ব প্রতিবেদক : লিখিত অভিযোগে জেলা পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জানান, নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে তিনি বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য তার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য নানা রকম প্রদক্ষেপ গ্রহণ করছেন।
তিনি ইতিমধ্যে, আটটি ইউনিয়নের ভোটারদের (ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য) নিয়ে দুটি সভা করেছেন।
সে সভায় তার মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হলে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে টিআর দিবেন। তাদের নিকট থেকে প্রকল্পের তালিকাও জমা নিয়েছেন।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ২২ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সভায় সংসদ সদস্য বলেছেন, তিনি ভোট কেন্দ্রে অবস্থান করে যে কোন মূল্যে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট আদায় করবেন।
ভোটারদের তার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মুঠোফোনে তাকে দেখাতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে ভোটারদের প্রলোভন দেখাচ্ছে বলে ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
টাঙ্গইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে দেলদুয়ারে (৯ নং ওয়ার্ড) আসনের সদস্য পদের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন জেলা পরিষদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে এই অভিযোগ করেছেন।
মোশারফ হোসেন তালা, প্রতাব মুকুল টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও এই আসনে সদস্য পদে আরো দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
এরা হচ্ছেন, গোলাম কিবরিয়া (হাতী প্রতীক) ও প্রভাংশু রঞ্জন সোম (ঘুড়ি প্রতীক)।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম ওরফে টিটু সমর্থন করছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস প্রতাব মুকুলকে।
আরো পড়ুন – টাঙ্গাইল জাতির জনকের বিকৃত ভাস্কর্যটি অপসারণ; প্রতিস্থাপিত হয়নি নয় মাসেও
এ প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যে ব্যবস্থা নেয় নিক।
দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শিবলী সাদিক জানান, জেলা পরিষদের সদস্য পদে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।
দেলদুয়ার থেকে দলের দুই জন সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। নেতা কর্মীরা আশা করেছিলো সংসদ সদস্য সবার অভিভাবক।
তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন। কিন্তু একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট নেয়ার জন্য প্রভাব বিস্তার করছেন। এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সম্পাদনা – অলক কুমার