নাগরপুরে ধলেশ্বরীর ভাঙনে হুমকীর মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি

ধলেশ্বরীর ভাঙনে হুমকীর মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি

নাগরপুর প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সহবতপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ধলেশ্বরী নদী বেষ্টিত (এলাসিন সেতু সংলগ্ন) ৪ নং ওয়ার্ড সলিল-আড়রা এলাকায় হঠাৎ নদীর পাড় ভাঙনে অস্তিত্ব হুমকীর মুখে পড়েছে প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সরকারি সড়ক।

এতে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদী পাড় ভেঙে যাওয়ায় বসতবাড়ি হারানোর শঙ্কায় দিন কাটছে এলাকাবাসীর।

কারণ হিসেবে এলাকাবাসী বলছে, বালু খেকোদের অবৈধ বালু উত্তোলন হঠাৎ এই বাঁধ ভাঙনের জন্য দায়ী।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলাসিন থেকে ভারড়া ভায়া সলিল হয়ে যাওয়ার বেড়িবাঁধ সড়কের একাধিক স্থানে বিস্তৃত ভাঙন লক্ষ্য করা গেছে এবং ইতিমধ্যে কয়েকটি বাড়ি নদীর ভাঙনে প্রায় বিলীন হওয়ার পথে।

স্থানীয় বাসিন্দা আছিয়া খাতুন বলেন, আমরা অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছি।

ঋণ করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেছি এখন সেটা বিলীন হওয়ার পথে। আমরা অনেক কষ্টে আছি।

এলাকা রক্ষায় আমাদের দাবী এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

আরেক বাসিন্দা ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জানায়, আমার এখানে ব্যাপক জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

এখানে শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। নদী ভাঙন ঠেকাতে বাঁধ নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

ধলেশ্বরী নদীতে হঠাৎ ভাঙন প্রসঙ্গে সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ মোল্লা’র মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইল জেলা অফিস প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন মুঠোফোনে জানায়, আমরা উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং বাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি বিলীনের ঘটনা জেনেছি।

সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়াও এলাসিন সেতু ক্ষতিগ্রস্ত যেনো না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।

বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে থাকে।

এ বিষয়ে তদারকি করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা আছে।

আমাদের প্রশাসনকে বিভিন্ন সময়ে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে নানা ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

তারপরও আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সম্পাদনা – অলক কুমার