খবরবাংলা : টাঙ্গাইলের সাংবাদিকদের কাছে হঠাৎ বিএনপির কদর বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএনপির কর্মসূচিগুলোতে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত থেকে সংবাদ পরিবেশন করছেন।
জেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও বিভক্তি নিয়ে দীর্ঘদিন সংবাদ মাধ্যমে কোন সংবাদ প্রকাশ করা না হলেও বর্তমানে এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশের মধ্যদিয়ে বিএনপিকে সঠিক পথে আসার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
এভাবে সংবাদ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে বিএনপি অনেকটাই উপকৃত হচ্ছে এবং দলকে শক্তিশালী করার সুযোগ হয়েছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
তারা এটিকে অনেকটা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট আহমেদ আযম খান টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় মিলিত হন।
মূলত: পহেলা নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলন উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
এতে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদকসহ প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের বেশিরভাগ সদস্য, সাধারণ সদস্য ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্টস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
খুবই সোহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এ মতবিনিময় সভা চলে প্রায় ঘন্টাব্যাপী।
মতবিনিময় শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খানকে প্রেসক্লাব সভাপতির অফিস কক্ষে আপ্যায়ন করা হয়।
সেখানে কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে একান্ত খোলামেলা আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ।
আলোচনার এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা আহমেদ আযম খান সময় পেলেই দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সময় কাটানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কারণ প্রেসক্লাব সবসময়ই সকলের জন্যে উন্মুক্ত।
প্রসঙ্গতঃ
বিএনপির একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সময় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপিকে কোন ধরনের সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবেনা মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির একটি অংশ সংবাদ সম্মেলন করতে চাইলে তাদেরকে অনুমোদন দেয়া হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনের নির্ধারিত ফি জমা দিয়েও সংবাদ সম্মেলন করতে পারেনি বিএনপি।
এরকম কঠিন সিদ্ধান্ত থেকে হঠাৎ প্রেসক্লাব সরে এসেছে। এটি একটি ভাল লক্ষণ নিঃসন্দেহে। তবে অনেকে বিষয়টিকে ভিন্নভাবে দেখছেন।
সারাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিএনপির একটা চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আন্দোলনে সফল হলে তারা আগামীতে সরকার গঠন করবে – এমন মনোভাব চলে এসেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে।
এসব কারণে হঠাৎ সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির কদর বেড়ে গেল কিনা- তা নিয়ে চলছে বিভিন্ন মহলে আলোচনা। সম্পাদনা – অলক কুমার