নিজস্ব প্রতিবেদক : কে হচ্ছেন সভাপতি, আর কে হচ্ছেন সম্পাদক? এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল ও সার্থক করতে ইতোমধ্যে উপজেলা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সঙ্গে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে।
সম্মেলনকে ঘিরে বিভিন্ন উপজেলায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবমূখর পরিবেশের। পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।
একই সঙ্গে শহরে প্রবেশ দ্বার ও শহরের প্রধান প্রধান রাস্তায় নির্মাণ করা হয়েছে শতাধিক তোরণ।
রোববার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। ইতোমধ্যে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে জোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
সম্মেলনকে ঘিরে জেলাব্যাপী দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটানো হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে আরো জানা যায়, ২০১৫ সালে ফজলুর রহমান ফারুককে সভাপতি, জোয়াহের ইসলাম জোয়াহেরকে সাধারণ সম্পাদক করে তিন বছরের জন্য ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক একুশে পদক পেয়েছেন।
এ ছাড়াও তিনি আবারও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে তিনি মুরুব্বির স্থান দখল করে আছেন।
তাই সভাপতি হিসেবে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাই। এবারও তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত।
অতিথি ও বক্তা –
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, শাহজান খান, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিক্ষা ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু, মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তামান সাধারণ সম্পাদক জোয়াহের ইসলাম জোয়াহের ও যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন।
প্রার্থীদের কথা –
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান স্মৃতি বলেন, দীর্ঘদিনের এই রাজনৈতিক পরিক্রমায় জেলার প্রত্যেক নেতাকর্মীর সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে।
গত সম্মেলনেও আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম। এবারও প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি দল আমার মূল্যায়ন করবে।
জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগ আরও ঐক্যবদ্ধ হবে।
সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অতীতেও দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে টাঙ্গাইলকে সন্ত্রাসমুক্ত রেখেছি।
দলকে আরও সুসংগঠিত করে আগামী দিনে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনকে প্রতিহত করা হবে। সম্পাদনা – অলক কুমার