নিজস্ব প্রতিবেদক : এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ হওয়ার পর ইচ্ছে ছিলো বাবাকে সাথে নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাবে সানজিদা আক্তার।
পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিয়েছিলো বেশ ভাল।
গত ৬ নভেম্বর থেকে অন্যান্য পরীক্ষার্থী বাবা-মার সাথে পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলেও সানজিদার সেই সৌভাগ্য হয়নি।
কারণ তার বাবা ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো।
আরো পড়ুন – করটিয়ায় স্কুল কমিটির নির্বাচনে জাল ভোটের অভিযোগ
শুধু তাই নয়, ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রোববার সকালে শোকে বিহ্বল স্বজনেরা যখন লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।
ঠিক সেই সময় বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরীক্ষায় অংশ নিতে যায়। পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে কান্নায় ভেঙে পরে সানজিদা।
সানজিদা আক্তার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামের শামীম আল মামুনের মেয়ে ও টাঙ্গাইল শহরের সরকারি কুমুদিনী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।
সে শহরের সরকারি শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব মহিলা মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে রোববার ইংরেজি দ্বিতীয় পরীক্ষার পরীক্ষায় দেয়।
তার বাবা শামীম আল মামুন ওই গ্রামে মৃত ছোরহাব হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় ছিলেন দলিল লেখক।
সানজিদা দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ছোট।
তার বড় ভাই ইমরান হোসেন জানান, গত ১৬ সেপ্টেম্বর তার বাবা শামীম আল মামুন পাকস্থলীর সমস্যা নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের একটি ক্লিনিকে চার দিন চিকিৎসা নেন।
আরো পড়ুন – চেয়ারম্যান হেকমত সিকদারের অপসারণ দাবি করেছে ৮ ইউপি সদস্য
পরবর্তীতে কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়ায় তাকে ঢাকার ইবনে সিনা হসপিটালে ভর্তি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার অপারেশন করা হলেও তার আর জ্ঞান ফিরেনি। শনিবার রাতে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।
রোববার সকালে বাইমাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা শেষে পার্শ্ববর্তী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সানজিদা আক্তার বলেন, আমি বাবাকে খুব সম্মান ও ভালবাসতাম; তাই তার নির্দেশনা মোতাবেক মনোযোগ দিয়ে লেখা পড়া করতাম। আমার বাবার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাই। সম্পাদনা – অলক কুমার