টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পাকহানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত

টাঙ্গাইলে পাকহানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত

অলক কুমার : বর্ণাঢ্য আয়োজনে টাঙ্গাইলে পাকহানাদার মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।

পাকহানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ ও টাঙ্গাইল পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ১১ ডিসেম্বর থেকে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে ১২ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

১২ দিন ব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

আরো পড়ুন – পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নয়, তদবির-বাণিজ্যে ব্যস্ত জেলা ছাত্রলীগের দুই প্রধান

পরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি; টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের এমপি তানভীর হাসান ছোট মনির; জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার; পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার; জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহুরুল হক ডিপটিসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ; সর্বস্তরের জনগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকবৃন্দ।

পরে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুণরায় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়।

আরো পড়ুন – টাঙ্গাইলে ঘুষ নিতে গিয়ে দুদকের কাছে আটক ৩ বনকর্মচারী

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি; আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি; মুক্তিযোদ্ধা সংসদ টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক প্রমুখ।

আলোচনা সভাটি উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক।

পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি শেষ হয়।